ফজলুল হক: [২] গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সেই অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বাড়ি থেকেই অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের একদিন পর শক্রবার সকালে তাকে উদ্ধার করা হয়।
[৩] উদ্ধারকৃত কিশোরী হলো, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার সগুনা এলাকার শাহ আলম সরকারের মেয়ে সোনালী খাতুন (১২)।
[৪] কিশোরীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা দিকে ওই কিশোরী সোনালীকে তার মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক একটি সিএনজিতে তাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই কিশোরীর বড় বোন সুলতানা খাতুন বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই কালিয়াকৈর পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কাশেম, শাকিল, হাফিজুর, শ্রীবাসসহ অজ্ঞাতনামা আরো ২-৩জনের নামে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
[৫] অপহরণের একদিন পর শুক্রবার সকালে উপজেলার কালামপুর এলাকার অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে অপহৃত কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে অভিযুক্ত ২ নাম্বার আসামী কাউন্সিলর আবুল কাশেমের নাম বাদ রেখে থানায় মামলা দায়ের করার পায়তারা চলছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
[৬] ওই কিশোরীর দুলাভাই জাহিদ হাসান জানান, ওই কাউন্সিলর আবুল কাশেম, শাকিল, হাফিজুর, শ্রীবাসসহ অজ্ঞাত-নামা আরো ২-৩ জন আমার শালিকা সোনালীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার সকালে খবর পাই অভিযুক্ত কাউন্সিলরের বাড়িতে সোনালী আছে। এরপর পুলিশকে জানালে তারা তাকে থানা নিয়ে যেতে বলে। পরে আমার বউ ওই কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে অপহৃত সোনালীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
[৭] অভিযুক্ত কাউন্সিলর আবুল কাশেম জানান, আমি এখানকার কাউন্সিলর হিসেবে ওসি সাহেব আমাকে বলেছে, এজন্য আমি আসামীদের চাপ প্রয়োগ করি। এছাড়াও আসামীদের মা-বাবাকে পুলিশের ভয় এবং মামলার ভয় দেখিয়ে ওই মেয়েকে উদ্ধার করে আমার বাড়ির কাছে নিয়ে আসি। পরে খবর দিয়ে ওই মেয়েকে তার বোনের কাছে দিলে তিনি তাকে নিয়ে থানায় গিয়েছেন।
[৮] কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম জানান, ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ অপহরণের ঘটনায় থানায় মামলা হবে। তবে অভিযোগের ২ নাম্বার আসামী ওই কাউন্সিলরকে এ মামলায় আসামী করা হবে না বলেও জানান তিনি।