মিনহাজুল আবেদীন: [২] বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলায় লন্ডন প্রবাসী সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, প্রায় দুশো বছর আগে ঢাকাই মসলিন ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কাপড়। কিন্তু তারপর এটা পুরোপুরি হারিয়ে গেছে। মসলিনের শাড়ি এখনো বাংলাদেশে তৈরি হয়। যার নাম জামদানি, তবে আধুনিক কালের মসলিনের সঙ্গে সেই প্রাচীন যুগের মসলিনের অনেক তফাৎ।
[৩] লন্ডন প্রবাসী জানান, লন্ডনের ভিক্টোরিয়া এ্যান্ড আলবার্ট মিউজিয়ামে শত শত মসলিন আছে। ইংলিশ হেরিটেজ ট্রাস্টে ২ হাজার মসলিন আছে, কিন্তু বাংলাদেশে একটিও নেই।
[৪] তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন যে মসলিন তৈরি হয় তার নাম জামদানী মসলিন। এটার থ্রেড কাউন্ট পুরোনো ঢাকাই মসলিনের চেয়ে অনেক কম। তবে এটা তৈরি করতে জানেন এমন অনেক তাঁতী বাংলাদেশে আছেন।
[৫] সাইফুল বলেন, আমি কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে, কীভাবে পুরোনো ঢাকাই মসলিনের কাছাকাছি মানের কাপড় তৈরি করা যায় সেই চেষ্টা করেছিলাম। ২৫ জন তাঁতীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম কিন্তু তাদের কেউই এ কাজ করতে রাজি হয়নি।
[৬] তিনি বলেন, মসলিন নেই, তাই সেই ফুটি কার্পাসের গাছও ধীরে ধীরে অপরিচিত জংলী গাছে পরিণত হয়েছে। এরপর প্রজন্মের পর প্রজন্ম পার হয়ে গেছে। ফলে ঢাকাই মসলিন কীভাবে বানাতে হয়, সেই বিদ্যাও হারিয়ে গেছে।
[৭] তিনি বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ অনেকগুলো শাড়ি বানানো হয়েছে। তাদের হাইব্রিড মসলিন থেকে। ইতোমধ্যেই তা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়েছে এবং তার কোনও কোনোটি হাজার হাজার পাউণ্ড দামে বিক্রিও হয়েছে।
[৮] প্রবাসী বলেন, মসলিনের একটা ভবিষ্যৎ আছে। মসলিন এখনো একটা শক্তিশালী ব্র্যান্ড কিন্তু তার সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। তবে একদিন এমন একটি বিশুদ্ধ ঢাকাই মসলিন শাড়ি বানাতে সক্ষম হবো। যার থ্রেড কাউন্ট হবে ৩০০-র চেয়ে অনেক বেশি।
[৯] তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি উন্নত করতে এটি খুবই কাজে দিবে। এটা জাতীয় মর্যাদার ব্যাপার। যেহেতু দেশে অনেক গার্মেন্টস কারখানা আছে, তাই আমাদের পরিচয় এখন আর দরিদ্র নয়, কিন্তু এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে এ দেশ পৃথিবীর সর্বকালের সূক্ষ্মতম কাপড়েরও দেশ। সম্পাদনা: রাশিদ
আপনার মতামত লিখুন :