শিরোনাম
◈ খেলাফত মজ‌লি‌সের মামুনুল হক হঠাৎ আফগানিস্তান সফরে কেন? ◈ শ্রীলঙ্কার কা‌ছে আফগা‌নিস্তান হে‌রে যাওয়ায় সুপার ফো‌রে খেলার সু‌যোগ পে‌লো বাংলাদেশ ◈ বাংলাদেশি নাগরিকত্ব নিয়ে টিউলিপের মিথ্যাচার, নতুন সংকটে স্টারমার: ডেইলি এক্সপ্রেসের রিপোর্ট ◈ শুধু অতীতের নয়, বর্তমানের দুর্নীতি থামাতেও নজর দিতে হবে: বিদ্যুৎ উপদেষ্টা ◈ বাংলাদেশ ও চীন সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নিতে একসাথে এগিয়ে যাবে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সাফ চ‌্যা‌ম্পিয়নশী‌পে নেপালকে ৪-০ গো‌লে হারা‌লো বাংলাদেশ ◈ শ্রীলঙ্কার প্রতি বাংলা‌দে‌শের সমর্থন, চোখ এড়ায়নি লঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডের ◈ আফগানিস্তান-শ্রীলংকা ম্যাচের ফল যেমন হলে লাভ বাংলাদেশের ◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার

প্রকাশিত : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৪১ দুপুর
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৪১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঢাকাই মসলিনকে আবারো বাঁচিয়ে তোলার চেষ্টা করা উচিত: সাইফুল ইসলাম

মিনহাজুল আবেদীন: [২] বৃহস্পতিবার বিবিসি বাংলায় লন্ডন প্রবাসী সাইফুল ইসলাম আরও বলেন, প্রায় দুশো বছর আগে ঢাকাই মসলিন ছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে দামী কাপড়। কিন্তু তারপর এটা পুরোপুরি হারিয়ে গেছে। মসলিনের শাড়ি এখনো বাংলাদেশে তৈরি হয়। যার নাম জামদানি, তবে আধুনিক কালের মসলিনের সঙ্গে সেই প্রাচীন যুগের মসলিনের অনেক তফাৎ।

[৩] লন্ডন প্রবাসী জানান, লন্ডনের ভিক্টোরিয়া এ্যান্ড আলবার্ট মিউজিয়ামে শত শত মসলিন আছে। ইংলিশ হেরিটেজ ট্রাস্টে ২ হাজার মসলিন আছে, কিন্তু বাংলাদেশে একটিও নেই।

[৪] তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন যে মসলিন তৈরি হয় তার নাম জামদানী মসলিন। এটার থ্রেড কাউন্ট পুরোনো ঢাকাই মসলিনের চেয়ে অনেক কম। তবে এটা তৈরি করতে জানেন এমন অনেক তাঁতী বাংলাদেশে আছেন।

[৫] সাইফুল বলেন, আমি কারিগরদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে, কীভাবে পুরোনো ঢাকাই মসলিনের কাছাকাছি মানের কাপড় তৈরি করা যায় সেই চেষ্টা করেছিলাম। ২৫ জন তাঁতীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম কিন্তু তাদের কেউই এ কাজ করতে রাজি হয়নি।

[৬] তিনি বলেন, মসলিন নেই, তাই সেই ফুটি কার্পাসের গাছও ধীরে ধীরে অপরিচিত জংলী গাছে পরিণত হয়েছে। এরপর প্রজন্মের পর প্রজন্ম পার হয়ে গেছে। ফলে ঢাকাই মসলিন কীভাবে বানাতে হয়, সেই বিদ্যাও হারিয়ে গেছে।

[৭] তিনি বলেন, ২০২১ সাল নাগাদ অনেকগুলো শাড়ি বানানো হয়েছে। তাদের হাইব্রিড মসলিন থেকে। ইতোমধ্যেই তা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রদর্শিত হয়েছে এবং তার কোনও কোনোটি হাজার হাজার পাউণ্ড দামে বিক্রিও হয়েছে।

[৮] প্রবাসী বলেন, মসলিনের একটা ভবিষ্যৎ আছে। মসলিন এখনো একটা শক্তিশালী ব্র্যান্ড কিন্তু তার সঠিক বাস্তবায়ন সম্ভব হয় না। তবে একদিন এমন একটি বিশুদ্ধ ঢাকাই মসলিন শাড়ি বানাতে সক্ষম হবো। যার থ্রেড কাউন্ট হবে ৩০০-র চেয়ে অনেক বেশি।

[৯] তিনি বলেন, দেশের ভাবমূর্তি উন্নত করতে এটি খুবই কাজে দিবে। এটা জাতীয় মর্যাদার ব্যাপার। যেহেতু দেশে অনেক গার্মেন্টস কারখানা আছে, তাই আমাদের পরিচয় এখন আর দরিদ্র নয়, কিন্তু এটাও গুরুত্বপূর্ণ যে এ দেশ পৃথিবীর সর্বকালের সূক্ষ্মতম কাপড়েরও দেশ। সম্পাদনা: রাশিদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়