শরীফ শাওন: [২] এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম জানায়, গত বছর করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তারা ক্ষতি পুনরুদ্ধার করতে পারেনি। সে সময় অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছিলো ৭৮.৮ শতাংশ পরিবার।
[৩] বৃহস্পতিবার জরিপের ফল প্রকাশে সংস্থাটি জানায়, এসকল পরিবারের প্রায় ৬০.৮ শতাংশ পরিবারকে বিকল্প পন্থা হিসেবে ঋণ নিতে হয়েছিল যা পরিশোধে গড়পড়তায় প্রায় দুই বছর সময় লাগতে পারে।
[৪] প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিডের পর মানুষের আয় কমেছে ১৫.৮০ ও ব্যয় কমেছে ৮.১০ শতাংশ এবং সঞ্চয় কমেছে ৬৪. ৬০ শতাংশ।
[৫] খাদ্যগ্রহণ কমানো পরিবারগুলোর মধ্যে রয়েছে চরের ৭৪.৭০, হাওরের ৭৮.৯০, উপকূলের ৬৯.৮০, বস্তির ৭৮.৮০, দলিত ৬৫.৭০, আদিবাসী ৮৯.২০, প্রতিবন্ধী ৮০.৪০, অভিবাসী ৭৮.১০ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ৮৪.১০ শতাংশ পরিবার।
[৬] খাদ্যবহির্ভূত খরচ কমিয়েছে ৬৪.৫০ শতাংশ পরিবার। এর মধ্যে চরের ৫৮.৭০, হাওরের ৭০.৪০, উপকূলের ৩৮.৪০, বস্তির ৬১.৬০, দলিত ৪১.৮০, আদিবাসী ৮৩.৩০, প্রতিবন্ধী ৫৮, অভিবাসী ৫৯.৪০ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা ৭৪.১০ শতাংশ পরিবার।
[৭] প্রতিষ্ঠানটির জ্যৈষ্ঠ গবেষক ইশতিয়াক বারি বলেন, জরিপের জন্য অন্তর্ভুক্ত দশটি প্রান্তিক গ্রুপের মধ্যে, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী, প্রতিবন্ধী, বস্তিবাসী ও চরের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
[৮] নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, কোভিড-১৯-এর প্রভাব কর্মসংস্থান, আয়, সঞ্চয় ছাড়াও পুষ্টিহীনতা, সহিংসতা এবং শিক্ষাখাতে ঝরে পরার ক্ষেত্রে লক্ষণীয়।
আপনার মতামত লিখুন :