নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন-২০২১-এর চূড়ান্ত খসড়া অনুমোদনের ফলে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা পর্ষদ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে বন্দরের আয় হতে শতকরা ১ ভাগ প্রদানের পথ প্রশস্ত হলো। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের ভার্চুয়াল বৈঠকে খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়। উক্ত খসড়ায় বন্দর কর্মচারী প্রবিধানমালা-’৯১ এবং চট্টগ্রাম বন্দর অধ্যাদেশ-১৯৭৬-এর পরিবর্তন ও পরিবর্ধন নতুন আইনে রয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইন-২০২১ অনুযায়ী বেসরকারি ডক নির্মাণ, অপারেটর নিয়োগ, মাশুল মওকুফ, বন্দরের স্থাপনা ও সম্পত্তি ইজারা প্রদান, জাহাজ ঘাট ও জেটি নির্মাণ, তহবিলের ব্যবহার, জমি অধিগ্রহণসহ কতিপয় ক্ষেত্রকে সময়োপযোগী এবং পরিষ্কার করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনায় ১৯০৮ সালে পোর্ট অ্যাক্ট ছিল তা মাদার অ্যাক্ট হিসেবে পরিচিত। এরপর ১৯১৪ সালে পোর্ট অ্যাক্ট ছিল। এই দুটি অ্যাক্ট ব্রিটিশ কর্তৃক ভারত বর্ষের ক্ষেত্রে কার্যকর ছিল। ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দর অথরিটি অর্ডিন্যান্স প্রথম প্রণয়ন হয়। তবে চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ১৯৪৮ সালের বিশেষ অ্যাক্ট অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে থাকে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ আইনের মূল বিষয় হচ্ছে এটিই প্রথম বাংলায় অনূদিত এই আইনটি ইংরেজিতে অনূদিত হবে এবং আইনে বাংলা এবং ইংরেজি পাঠের মধ্যে বিরোধের ক্ষেত্রে বাংলা পাঠ প্রাধান্য পাবে। নতুন আইনে জাহাজ ঘাট ও জেটি নির্মাণের ক্ষেত্রে এবং সম্পত্তি ইজারা ও বন্দরের স্থাপনার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। আইনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বর্তমান ও সাবেক মেয়র এবং প্রশাসকদের দীর্ঘ দিনের দাবির প্রতি সম্মান দেখানো হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় হওয়ায় বন্দরের পণ্যবাহী ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন করপোরেশনের অবকাঠামো ব্যবহার করে থাকে। সিটি করপোরেশন ঐসব সড়ক সংস্কারসহ এর পরিচালনা ব্যয় নির্বাহের জন্য বন্দরের আয়ের একটা অংশ তাদেরকে প্রদানের জন্য দাবি জানিয়ে আসছে।- ইত্তেফাক