সুজিৎ নন্দী: [২] দেশের সকল কারাগারে কয়েদীদের এখনো ভ্যাকসিন দেবার অনুমতি মেলেনি। তবে কারা অধিদফতর থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে ২৮জন বন্দিকে করোনার টিকা দেয়া হয়েছে।
[৩] কারাবন্দিদেরও করোনার টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে কারা প্রশাসন। এ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথাও বলেছে কারা প্রশাসন। কারাবন্দিরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। লক্ষীপুর জেলা কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন মামলার কারাবন্দীদের টিকা দেওয়া হয়। জেলা সিভিল সার্জনের সহযোগিতায় একটি মেডিকেল টিম কারাগারে গিয়ে এ টিকা প্রয়োগ করেন।
[৪] আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখান থেকেও ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি। খুব শিগগির এ ব্যাপারে কারা অধিদফতর থেকে মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কীভাবে সারাদেশের কারাগারগুলোতে থাকা বন্দিদের করোনার টিকা দেওয়া যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
[৫] আইজি প্রিজন্স আরো বলেন, অবশ্যই কারাবন্দিরা করোনার টিকা নেওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন না।
[৬] কোভিড-১৯ জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের এ ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আমরা পরামর্শ দিতে পারি। আমরা এ বিষয়টি নিয়ে কোন ভাবিনি।
[৭] মানবাধিকার কর্মী খুশী কবীর বলেন, কারাগারের ভেতরের কি অবস্থা এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। যদি কোনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ে তাহলে কি হবে সেটা ভাবা যায়। অতিদ্রুত কারাবন্ধিদের ভ্যাকসিন দেয়া উচিৎ।
[৮] একাধিক কারাবন্ধীদের একাধিক আত্মীয় জানান, সারাদেশের মানুষ করোনার টিকা নিলেও কারাবন্দিরা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক বন্দিই করোনার টিকা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলে জানা যায়।
[৯] অপর একটি সূত্র জানায়, আইনি জটিলতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্দীদের কারাগার হতে তাদের নিজ নিজ এলাকায় নিয়ে করোনা টিকা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে খুব শিঘ্রই জটিলতা কাটিয়ে টিকাদেবার কাজ শুরু হবে।
আপনার মতামত লিখুন :