শিমুল মাহমুদ: [২] কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বিশেষায়িত হাসপাতালের দায়িত্বশীলরা বলছেন, ‘ভালো চিকিৎসার আশা’য় রোগী আসছে জেলা শহর থেকে। রাজধানীর হাসপাতাল গুলোতে শয্যা সংকট থাকায় যথাসময়ে চিকিৎসা না পেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অনেক রোগী যে মৃত্যুর পথ ধরছেন।
[৩] রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৩০ জন রোগী। ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পরায় ৮০ ভাগ রোগীর প্রয়োজন হচ্ছে অক্সিজেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রোগী ৬৮২ জন। অক্সিজেন লাগছে ৮৬ শতাংশের।
[৪] চিকিৎসকরা বলছেন, নতুন ধরনের এ করোনা খুব দ্রুত ছড়ায়। উপর্সগ গুলো হলো, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া, হালকা জ্বর, কাশি, ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা, ফুসফুসে দ্রুত সংক্রমণ, হঠাৎ অক্সিজেন কমে যাওয়া, ব্লাড প্রেশার ও প্লাটিলেট কমে যাওয়া, দুই-তিন দিনেই জটিলতা।
[৫] মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক অধ্যাপক আহমেদুল কবীর বলেন, সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে ‘ক্রিটিক্যাল’ রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করায় বেশিরভাগ রোগীর অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাচ্ছে। ফলে ২০ শতাংশের বেশি হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে।
[৬] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৮৩ হাজার ৮৮৫ জন, যা গত ৬ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৬৯৫ জন সাধারণ শয্যা ও ৪১৭ জন আইসিইউ শয্যায় রয়েছেন। ঢাকা মহানগরীর ১৯টি কোভিড হাসপাতালে ২৫টি আইসিইউ শয্যা ও ২৭২টি সাধারণ শয্যা ফাঁকা রয়েছে। যদিও হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের দাবি, সরকারি তথ্যের চেয়ে বেশি রোগীতে রাজধানীর হাসপাতালগুলো পূর্ণ।
[৭] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম বলেন, যে গাইড লাইন অনুযায়ি এতোদিন চিকিৎসা চলে আসছিলো সেটিকে হালনাগাত করার উদোগ নেওয়া হয়েছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে এটি আপডেট হবে।