শাহীন খন্দকার: [২] এপর্যন্ত সারা দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯ হাজার ৩১৮ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন, ৫ হাজার ৩৪৪ চট্টগ্রামে, ১ হাজার ৬৮০, রাজশাহীতে ৫১০, খুলনায় ৫৯৩, বরিশালে ২৭৭, সিলেটে ৩২৮, রংপুরে ৩৮১ ময়মনসিংহে ২০৫ জন। মোট শনাক্ত ৬লাখ ৩০ হাজার ২৭৭ আর সুস্থ্য হয়েছেন ৫ লাখ ৪৯ হাজার ৭৭৫ জন।
[৩] ঢেউ সামলে ওঠার আগেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিশ্বের একাধিক দেশে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনার পরিবর্তিত রূপ। বাংলাদেশেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার নতুন রূপ। প্রায় প্রতিদিনই সংক্রমিত করছে হাজার হাজার মানুষকে, যা নিয়ে ফের নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
[৪] এদিকে বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দেওয়ার আগে আবার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়বে বাংলাদেশসহ বিশ্বে। এই আশঙ্কা এবং এই দূর্যোগ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বিজ্ঞানীরা দিনগুনছেন। করোনাভাইরাস পরীক্ষা ও চিকিৎসার পরিকাঠামো এখন আগের তুলনায় অনেক উন্নত। নতুন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে ক্রমশ।
[৫] সংক্রমণের এদ্বিতীয় ঢেউ প্রথমটির চেয়ে আরও বেশি কঠিন হতে পারে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দেওয়া পথে যেতে পারে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষজ্ঞদের মতে করোনার নতুন স্টেন কেবল ভয়তৈরী করছে না, একই সঙ্গে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতেও সমস্যা তৈরি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন।
[৬] এই কারণে সবার জন্য ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার বিষয়েও বৈজ্ঞানীরা জোর দিচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, নতুন স্ট্রেনের লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কাশি-জ্বর, ব্যথা এবং গন্ধ চলে যাওয়া। এই নতুন স্ট্রেন শরীরে আক্রমণ করার আগে ভাইরাসটি আগের চেয়ে স্মার্ট হয়ে উঠেছে।
[৭] এদিকে আগামী ৮ এপ্রিল থেকে যে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু হচ্ছে এবং যথাযথভাবে চলবে। প্রথম ডোজ ৬ই এপ্রিল শেষ হবে। আমাদের টিকা আছে। দ্বিতীয় ডোজ শুরু করার মতো টিকার পর্যাপ্ত মজুত আছে কিনা জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, এখন পর্যন্ত অসুবিধা হবে না। যে পরিমাণ ফাস্ট ডোজ দেয়া হয়েছে, দ্বিতীয় ডোজ দিতে কোনো সমস্যা হবে না।