এস এম সাব্বির :[২] কালবৈশাখী ঝড়ে সারা বছরের খাবার যোগানের স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে গোপালগঞ্জের শত শত কৃষকের। তারা এখন চিন্তায় কীভাবে যোগান হবে সারা বছরের খাবারের। কীভাবেই বা চলবে সংসার। ধার দেনা, ব্যাংক লোন ও ঋণ নিয়ে এসব কৃষকরা তাদের জমিতে ধানের আবাদ করেছিলেন।
[৩] টুঙ্গিপাড়া উপজেলার শেফালী বিশ্বাস, অপর্ণা রানী খান, দয়ানন্দ ঘরামী, জুড়ান বিশ্বাস, সুরেশ সেন, চিত্তরঞ্জন ঘরামী, দেবাশিষ মণ্ডলসহ অনেকে জানান, রাতে গ্রামের উপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। কয়েক মিনিটের গরম বাতাসে তাদের জমির ধানের শীষ শুকিয়ে সাদা হয়ে গেছে।
[৪] এক ছটাক ধানও ঘরে তুলতে পারবেন না। সারা বছর পরিবার পরিজন নিয়ে কী খাবেন তার চিন্তা করছেন।জেলার ১০ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। খবর পেয়ে কৃষি বিভাগ ইতিমধ্যে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণে মাঠে নেমেছে।
[৫] গোপালগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোপালগঞ্জে এ বছর ৭৮ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এসব জমিতে এখন ধানের ফ্লাওয়ারিং স্টেজ চলছে।
[৬] কিন্তু হঠাৎ করে রাতে জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া, তাড়াইল, পাকুরতিয়া, লেবুতলা, বর্ণি, কুশলী, পাটগাতী, বরইহাটি ও গোপালপুর, কোটালীপাড়া উপজেলার কান্দি ইউনিয়নের মাচারতারা, আমতলী, তালপুকুরিয়া, কান্দি, পিঞ্জুরী, হিরণ ও আমতলী, কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ও সদর উপজেলার চর মানিদাহ গ্রামের উপর দিয়ে কাল বৈশাখীর ঝড়ের সঙ্গে প্রবাহিত হয় গরম হাওয়া।
[৭] পরে কৃষকেরা তাদের জমিতে গিয়ে দেখেন সব ধান সাদা হয়ে গেছে। ক্ষেতের উঠতি বোরো ধানের শীষে যে গুলোতে কেবল ‘দুধ’ এসেছে সেই ধানের শীষ সব চিটায় পরিণত হয়ে সাদা বর্ণ ধারণ করেছে।
[৮] যেসব জমিতে ধানের ফ্লাওয়ারিং হচ্ছে সে সব জমির ধান গরম বাতাসে পুড়ে সাদা হয়ে গেছে। এতে উৎপাদনের প্রায় শতকরা বিশ ভাগ ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আর এতে জেলার শত শত কৃষক কয়েক কোটি টাকার ক্ষতির সম্মূখীন হয়েছেন।সম্পাদনা:অনন্যা আফরিন