বিপ্লব বিশ্বাস: [২] লকডাউনের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পরেনি রাজধানীর পাড়া-মহল্লা গুলোতে। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে রাজধানীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় খোলা ছিল অনেক দোকানপাট। চায়ের দোকানগুলোতে চলছিল আড্ডা। ছিলনা স্বাস্থ্যবিধির কোন বালাই।
[৩] অন্যদিকে, মহাসড়কে গণপরিবহণ না থাকলেও রিকশা, অটোরিকশা, লেগুনায় পরিহবণ করা হয় যাত্রী। গাবতলী, মিরপুর, গুলিস্তান, বনানী, মহাখালী, উত্তরা, উত্তরার উত্তরখান, দক্ষিণখান, তুরাগ এলাকায় এমন দৃশ্য ছিল বলে জানা যায়।
গাবতলীতে বাস টার্মিনাল থেকে ছাড়া হয়নি কোন বাস। অনেকেই গ্রামের বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসেছিলেন। সবাই বিমূঢ় হয়ে ফিরে গেছেন। একই চিত্র ছিল মহাখালী বাস টার্মিনালের।
[৪] সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে চিত্রটা ছিল প্রায় একই রকম। সেখানে ছাড়া হয়নি কোন লঞ্চ। যারা এসেছেন তারা বসে আছেন। না হলে ছোট ছোট নৌকা ভাড়া করে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে পাড়ি জমাচ্ছেন।
তবে মিরপুরে, মাঝে মাঝে দু' একটি বাস পেলে যাত্রীরা উঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়তে দেখা যায়। আবার অনেকে রিকশা, লেগুনা, পাঠাও কিংবা উবার করে গন্তব্যে ছুটছে। পাঠাও ও উবার চালকরাও রাইড শেয়ারিং বাদ দিয়ে চুক্তিতে যাত্রী পরিবহন করছেন।
[৫]রামপুরা-বাড্ডা মহাসড়কেরও একই দৃশ্য। সড়ক এখন রিকশা, লেগুনা, সিএনজি'র দখলে। অলিগলি গুলোতে চলছে জম্পেশ আড্ডা। চায়ের দোকান, মুদি দোকান, বিভিন্ন আসবাবপত্রের দোকান, কাপড়ে দোকানগুলোর অধিকাংশই খোলা রয়েছে।
এ ব্যপারে নিউমার্কেটের ব্যবসায়ী কামরুল হোসেন বলেন, ভাই রাজধানীর অধিকাংশ পাড়া মহল্লার দোকান গুলোতে, কেউ কেউ সম্পূর্ণ শাটার খুলে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। আবার কেউ কেউ অর্ধেক শাটার খুলে ব্যবসা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় অনান্য দিনের মতই ছিল আনাগোনা। আর নিউমার্কেট খোলা থাকলেই সমস্যা। কেউতো মানছে না লকডাউন।
[৬]এ ব্যপারে উত্তরায় এক সার্জেন্ট নকীব হোসেন বলেন, দুপুরের পর থেকে ডিউটিতে এসে দেখি সরকারের নির্দেশে রাস্তায় গণপরিবহন নেই। যেসব অটোরিকশা, ইজি বাইকে করে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছিল তাদেরকে আটক করে রাখা এবং ডাম্পিং করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এমনিতেই মহাসড়কে এসব রিকশা-অটোরিকশা প্রবেশ নিষেধ। এরপরও তারা লকডাউন অমান্য করে যাত্রী পরিবহন করছিল।
আপনার মতামত লিখুন :