এএইচ রাফি: [২] জেলায় হামলা,ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হেফাজত ইসলাম জড়িত নয়। যদি কেউ করে থাকে তাহলে সে আমাদের বন্ধু নয়, তারা আমাদের শত্রু। এই হামলার সাথে যারা জড়িত তারা হেফাজতে ইসলামের হতে পারে না বলে অস্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর মাওলানা সাজিদুর রহমান। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে তিনি এই মন্তব্য করেন।
[৩] সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হেফাজতে ইসলামের জেলা নেতৃবৃন্দ ও জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার একটি প্রতিনিধি দল প্রেসক্লাবে আসেন।
[৪] এসময় বিস্তারিত তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
[৫] হেফাজতের নায়েবে আমীর মাওলানা সাজিদুর রহমান বলেন, 'আমরা প্রেসক্লাবে এসেছি সমবেদনা জানানোর জন্যে, দুঃখপ্রকাশ করতে। আজ থেকে হেফাজত-ওলামা আর সাংবাদিক ভাই ভাই। হেফাজতের ইসলামী বা কোন মাদরাসা ছাত্র এসব ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের সাথে জড়িত নয়৷ হরতালের দিন সকালে আমরা মিছিল শেষে ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছি, হামলা ও ভাংচুর করা যাবে না, সরকারি স্থাপনায় হামলা করা যাবে না, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। যদি কেউ করে থাকে তাহলে সে আমাদের বন্ধু নয়, তারা আমাদের শত্রু।
[৬] যারা এই হামলার সাথে জড়িত তারা হেফাজতে ইসলামের হতে পারে না। আমরা এর নিন্দা জানাই। এই নেক্কারজনক কাজের সাথে জড়িত তাদের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হোক। কোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে যেন হয়রানি না করা হয়, আমি দাবি জানাচ্ছি'।
[৭] উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের প্রতিবাদে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদরাসাছাত্রদের ওপর পুলিশের হামলার খবরে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালায় হেফাজতে ইসলামের কর্মীরা।
[১০] এসময় পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা পরিষদ কার্যালয় ও ডাকবাংলো, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা ভবন, আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, আলাউদ্দিন খাঁ পৌরমিলনায়তন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরসহ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এই ঘটনায় সদর হাসপাতালেত তথ্য অনুযায়ী নিহত হয় ১২ জন।