কামরুল হাসান নাসিম : মনে করছি, সাম্প্রদায়িক শক্তি নির্মূলে কাউন্টার আক্রমণে যেতে হবে। অহিংস পন্থায় কীভাবে তা হতে পারে। পাকিস্তানের সাথে আলাপে গিয়ে দেশের কওমি মাদ্রাসার নিরীহ শিক্ষার্থীসহ সকল পর্যায়ের দুষ্টু ইসলামিক দলগুলোর নেতাকর্মীদের দেশ ছাড়া করতে হবে। প্রয়োজনে কষ্ট করে তাঁদের জন্য নতুন একটি মানচিত্র তৈরিতে উদ্যোগী হতে হবে। তাতে আমাদের মন খারাপ হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নোয়াখালী-সিলেট-চট্টগ্রাম এর মায়া ছেড়ে দেয়া শ্রেয়। তাঁরা ইসলামিক স্টেট করে নিক। তবুও বাংলাদেশ আলাদা থাকুক। মনে কষ্ট নিয়েই বললাম।
তাঁদের চাল চলন, বলন দেখতে শুনতে আর পারা যাচ্ছে না। কিন্তু কোনো রক্তপাত প্রত্যাশা করি না। পচা শামুক হয়ে দাঁড়াচ্ছে তাঁরা। এমন কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ বাবু নগরী টাইপ দুষ্টুর কাছে চলে যেতে পারে। মামুনুল হকদের মত মনুষ্য প্রাণের অদ্ভুত টাইপ জীবের কাছেও যেতে পারে। সব মিলিয়ে সেরা একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। যেমন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ত্রিদেশীয় বৈঠকের আয়োজন করা। কারণ স্থায়ী একটা সমাধান আমি দিচ্ছি।
উর্দুভাষি কট্টরপন্থী মুসলিম, বাংলাভাষি কট্টরপন্থী মুসলিমÑ তাঁরা পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক। অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বসবাস করা ধর্মপ্রাণ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মিলিয়ে বাংলাদেশ আরও বড় পরিসরে ‘বাংলা’ হয়ে যাক। যেখানে ভারতের কয়েকটি রাজ্যের অধিবাসীদের দারুণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে তাঁদের কিছু সীমানা ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতায় যেতে হবে। শুধু শান্তির জন্য।
শান্তির অন্বেষণে থেকে বিনা রক্তপাতে সমাধান খুঁজতে হবে। তিনটি দেশ এর সমন্বয়ে গঠিত এমন ঐতিহাসিক বোঝাপড়ার আজন্ম বৈঠকগুলো আমরা কাশ্মীরে করতে পারি। সেক্ষেত্রে কাশ্মিরই হোক আমাদের তিনটি দেশের মধ্যকার বৈঠক করার কেন্দ্রীভূত উদ্রেকে ভাসা আবেগী তীর্থস্থানÑ যেখানে শান্তির জন্য রাষ্ট্রনায়কেরা প্রায়শই বসবেন, আড্ডা দিবেন এবং একযোগে পৃথিবীর অপরাপর মন্দ শক্তিদের বুদ্ধি দিয়ে হারানোর সক্ষমতায় যাবেন। ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের এমন জোট গঠনে দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছি।
ভারতকে বুঝতে হবে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ তাদের মধ্যেই ছিল। কাজেই ভবিষ্যতে ও বর্তমান পরিস্থিতি অনুযায়ী মানুষের প্রাণহত্যা করে তথা যুদ্ধ-বিগ্রহের মাধ্যমে না গিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মধ্যদিয়ে ত্যাগ স্বীকার করার উদাহরণ দেখিয়ে এই অঞ্চলের মানুষগুলোর সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের এমন জোট গঠনে দক্ষিণ এশিয়ার জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক নিরাপত্তাও সুনিশ্চিত হবে বলে মনে করছি।
লেখক : রাজনৈতিক ভাষ্যকার
আপনার মতামত লিখুন :