নাঈমুল ইসলাম খান: [১] বাংলাদেশের সংবাদপত্র করোনাকালের আগেও বৈষম্যমূলক ও নৈরাজ্যকর সরকারি ব্যবস্থাপনা এবং ক্রমহ্রাসমান বিজ্ঞাপন, অশুদ্ধাচার, অযুক্তি ও কুযুক্তির যাতাকলে শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় চলছিলো।
[২] করোনার প্রথম ঢেউ ছিলো সেই ‘মরার উপরে খাড়ার ঘাঁ’। প্রথম ঢেউ চলাকালে কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উদারতায় আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্তিত্ব কোনোরকমে রক্ষা করে মাত্র সতেজ হয়ে উঠছিলো। পুরোপুরি উঠে দাড়াতে পারেনি।
[৩] আবার আসলো দ্বিতীয় ঢেউ। এই ঢেউয়ের আছাড়ে আধমরা অবস্থায় সজীব হওয়া আমাদের সংবাদপত্র আবারও বিপর্যস্ত হতে চলেছে।
[৪] আবার টিকে থাকা এবং আবার ঘুরে দাঁড়ানো নিশ্চয়ই খুব কঠিন হবে। বেঁচে থাকার এই পুনর্লড়াইয়ে, এই অবর্ণনীয় দুর্দশার সময়ে কারো সহৃদয়তা পাওয়া যাবে কিনা, অথবা কতটুকু পাওয়া যাবে, জানি না। এই সময়ে নিজেরাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, পারস্পারিক সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম আমরা নিশ্চয় জারী রাখবো। প্রতিষ্ঠান ঠিক থাকলে আমাদের ভবিষ্যতও সম্ভাবনাময় থাকবে নিশ্চয়।
[৫] শুরুতে অচেনা করোনা যখন আমরা সামাল দিতে পেরেছি, এখন চেনা করোনার ভয়াবহতা সত্ত্বেও আমরা লড়াই-সংগ্রামে নিশ্চিত জয়ী হবো। আমরা দৃঢ় প্রত্যয়ী।
অনুলেখক: ফাহমিদা তিশা
রচনার তারিখ: ৪ এপ্রিল ২০২১