সুজন কৈরী: রাজধানীর বনানীর কড়াইল বস্তি এলাকায় স্ত্রী ও শিশু সন্তান হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামি রুবেলকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১। শুক্রবার রাজধানীর তুরাগের কামারপাড়া এলাকার কাঁচামালের আড়তের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুবেল নিহত হাসি খাতুনের স্বামী ও শিশু নীরবের বাবা।
শনিবার র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার জানান, গত ২৩ মার্চ কড়াইল বৌ বাজারের ঝিলপাড় এলাকায় পারিবারিক কলহের জের ধরে ভিকটিম হাসি খাতুন (২৪) ও তার সন্তান নীরবকে (৫) রুবেল নির্মমভাবে হত্যা করে মরদেহ গুম করতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার ব্যাটালিয়নের একটি দল তুরাগ এলাকা থেকে হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। তাকে বনানী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
রুবেল জিজ্ঞাসাবাদে র্যাবকে জানিয়েছেন, তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। ৭ বছর আগে হাসি খাতুনকে বিয়ে করেন এবং কড়াইল এলাকায় বসবাস শুরু করেন। তাদের একমাত্র ছেলে সন্তানের নাম নীরব। পাঁচ মাস আগে রুবেল স্ত্রী-সন্তান নিয়ে কুমিল্লার ইলাসপুর এলাকায় তার গ্রামের বাড়িতে বসবাস শুরু করেন। পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রায়শই রুবেল তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে শারীরিক নির্যাতন ও অত্যাচার করতেন। সহ্য করতে না পেরে গত ১৯ মার্চ সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ি বনানীর কড়াইল বৌ বাজার এলাকায় চলে যান হাসি। পরে রুবেল গত ২২ মার্চ ভিকটিমকে নিজ বাসায় নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কড়াইল এলাকায় ভিকটিমের বাবার বাড়িতে যান। হাসি যেতে না চাইলে ২৩ মার্চ রাত ২টার দিকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এরপর কড়াইল বৌ বাজারস্থ ঝিলের পাড় এলাকায় মরদেহ ফেলে রাখেন। একইদিন সকাল ৬টার দিকে রুবেল তাদের একমাত্র সন্তান নীরবকে গলা চেপে হত্যার পর তার মায়ের মরদেহের পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আপনার মতামত লিখুন :