এম.রায়হান চৌ্ধুরী : [২] কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) টানা ৮ ঘন্টা অভিযান চালিয়েছে। এসময় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে নগদ ৬ লাখ ৪২ হাজার ১শত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান চলাকালে শ্যামল বড়ুয়া নামের একজন অফিস সহকারী বাউন্ডারি টপকে পালিয়ে যায় ।
[৩] গ্রেপ্তার করা হয় সাব-রেজিস্ট্রার মো: নাহিদুজ্জামান ও অফিস মোহরার দুর্জয় কান্তি পালকে। এনিয়ে দুদক গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা করা হয়েছে। এই তিনজনের নিয়ন্ত্রণ থেকে ঘুষের টাকাগুলো পাওয়া গেছে বলে দুদকের দায়েরকৃত মামলার এজাহারে দাবি করা হয়।
[৪] গ্রেপ্তার সাব-রেজিস্ট্রার নাহিদুজ্জামান নাটোর জেলার গুরুদাশপুর থানার উত্তর নাড়ি বাড়ির , মোহরার দুর্জয় কক্সবাজার সদর উপজেলার খুরুস্কুল ও পলাতক অফিস সহকারী শ্যামল কক্সবাজার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
[৫] বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬ টা থেকে রাত ২ টা পর্যন্ত টানা ৮ঘন্টা রুদ্ধদার অভিযান চালানো হয়।
[৬] অভিযান চালানোর একপর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ তানভীর হোসেনকে সাথে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রারের বাসাতেও তল্লাশী চালানো হয়। দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন অভিযানের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
[৭] দুদকের অভিযান সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জমির দলিল সম্পাদনের সময় ঘুষের লেনদেন নিয়ে বেশকিছু অভিযোগ আসে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয় অভিযানে নামে। সম্প্রতি রশিদ আহমদ নামের এক ব্যক্তির দলিল রেজিস্ট্রেশনের জন্য সাব-রেজিস্ট্রারের নাম ব্যবহার করে এক কর্মচারী ঘুষ দাবি করেন।
[৮] দুদক কর্মকর্তারা ভুক্তভোগী অভিযোগকারী সেবাগ্রহীতাকে সাথে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যান। পরে দুদক কর্মকর্তারা কার্যালয়টিতে অভিযান চালান। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের প্রধান সহকারী ও অন্যান্য সহকারীর কাছ থেকে দুদকের টিম তিনটি স্থান থেকে ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করেছে।
[৯] স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুদকের অভিযান শুরু হওয়ার পর কৌশলে পালিয়ে যাওয়া শ্যামল বিপুল টাকা ও বেশ কিছু কাগজপত্র সাথে নিয়ে গেছেন।
[১০] অভিযানে নেতৃত্বে দেয়া দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বলেন, চকরিয়া সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক ৬ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। ঘুষ লেনদেন জড়িত থাকার অভিযোগে সাব-রেজিস্ট্রারসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুদক গ্রেপ্তারকৃত ও পলাতকসহ তিনজনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :