আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে এ কথা বলেন ক্রিস্টিন বার্গেনার। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর দমন ও পীড়ন তীব্র হওয়ায় মিয়ানমারে একটি রক্তগঙ্গা আসন্ন হয়ে উঠেছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বার্গেনার আরও বলেন, ক্ষমতা দখলকারী সেনাবাহিনী দেশ পরিচালনায় সক্ষম নয়। দেশটির অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি কেবল খারাপের দিকেই যাবে বলে সতর্ক করেন তিনি। রয়টার্স
[৩] মিয়ানমারের ব্যাপারে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে গ্রহণযোগ্য সব উপায় বিবেচনা করতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে বলেন ক্রিস্টিন। দেশটির পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য জরুরি বৈঠকটি আহ্বান করে যুক্তরাজ্য। বিবিসি
[৪] এ বৈঠকের পর ভার্চুয়াল সংবাদ ব্রিফিং করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত বারবারা উডওয়ার্ড। তিনি বলেন, মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনীর সহিংসতা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে একটি কঠোর বার্তা দেওয়া দরকার।
[৫] এদিকে, জান্তা সরকার বিক্ষোভকারীদের প্রতি একটি অস্ত্র বা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছে। তবে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তার কোনও ধরণের হুমকিকেই বরদাশত করা হবে না। অবশ্য সরকারের এক প্রতিনীধি জানান, এই বিরতি সশস্ত্র বিক্ষোভকারীদের জন্য। সরকার শান্তির পথে এক পা বড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।