ইমরুল শাহেদ: ২ এপ্রিল শুক্রবার চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এফডিসি বেশ জমজমাট। এখানে প্রতিদিন যাতায়াত করছে পরিচালক, শিল্পী-কলা-কুশলী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা। খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, প্রার্থীদের নিয়ে খুনসুঁটি, পোস্টার, প্ল্যাকার্ড, নতুন ছবির ব্যানারসহ নানা সাজে সজ্জিত হয়েছে এফডিসির বিভিন্ন প্রান্তর। পরিচালক সমিতির এবারের নির্বাচন হচ্ছে তিনটি প্যানেলে।
কাজী হায়াৎ-এসএ হক অলীক, শাহ আলম কিরণ-সাফি উদ্দিন সাফি এবং সোহানুর রহমান সোহান-শাহীন সুমন - এই তিনটি প্যানেলে ৪৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এজন্য জল্পনা-কল্পনাও বেশি। কে জিতবেন কে হারবেন এটা কেউ বলতে পারছেন না। আগে অনুমান করা যেত কারা জিতবেন, এবার সেটা করা যাচ্ছে না। পদ্মার মতো প্রতি মুহূর্তেই বদলে যাচ্ছে ভোটের দৃশ্যপট। গত সোমবার ছিল পরিচালক সমিতির সাধারণ সভা। সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন ১৫০ জনের মতো পরিচালক। নির্বাচন কমিশন অনুমান করছে, প্রার্থীদের বাদ দিলে আর ভোটার থাকে ৩১৭ জন।
সাধারণ সভার উপস্থিতির বাইরে হয়তো আর একশ’ ভোটার আসতে পারে ভোট দিতে। মহামারী বেড়ে যাওয়ার কারণে অন্যান্য বারের মতো এবারের নির্বাচন মুখরিত হতে নাও পারে। বৃহস্পতিবার হলো দুটি প্যানেলের পরিচিতি। সেখানকার উপস্থিতিও নজর কাড়ার মতো নয়। সচরাচর যেসব মুখগুলো এফডিসিতে নিয়মিত দেখা যায়, তারাই কেবল ঘুরেফিরে এখানে ওখানে যাচ্ছেন। এজন্যও সম্ভাবনাময় প্রার্থী কারা তা সুনির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে বলা যায়, পরিচালক সমিতির বর্তমান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটা রহস্যজনক পরিস্থিতি বিরাজমান রয়েছে।