মাসুদা ইয়াসমিন : [২] বুধবার সকালে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মাদরাসার প্রিন্সিপালসহ দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
[৩] এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার তাহফিজুল কোরআন হাফিজিয়া মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও এক শিক্ষককে আটক করে পুলিশ।
[৪] গ্রেপ্তারকৃত মাদরাসার প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা আকরাম হোসেন ও তার ভাই শিক্ষক আব্দুর রহমান নবী। তারা ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার পশ্চিম শালকোণা গ্রামের জনব আলীর ছেলে।
[৫] জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সাইফুল রহমান তালুকদার (১৮) বাগেরহাট জেলার শরণখোলা থানার উত্তর কদমতলা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। গত সোমবার বিকেলে মাদরাসার শিক্ষার্থী সাইফুল রহমান তালুকদারকে মারধর করেন প্রিন্সিপাল আকরাম হোসেন। পরে ওই শিক্ষার্থী মাদরাসা থেকে পালিয়ে তার মামার বাড়িতে যায়।
[৬] ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা খলিলুর রহমান বলেন, আমি খুলনায় গ্রামের বাড়িতে থাকি। মঙ্গলবার একটা অপরিচিত নম্বর থেকে এক ভ্যানচালক আমাকে ফোন দেয়। সে জানায় আমার ছেলে সাইফুলকে মাদরাসার স্যার মারছে। আর সে রাস্তার পাশে একটি দোকানে বসে কানতেছে। তখন ওই ভ্যানচালক আমার ছেলেকে নবীনগরে তার মামার বাসায় দিয়ে আসে। পরে আমি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ গতকাল রাতে প্রিন্সিপালসহ আরেক শিক্ষককে ধরে নিয়ে যায়।
[৭] আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা মাদরাসার প্রিন্সিপালও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ করেছেন।
[৮] এঘটনায় রাতেই অভিযুক্ত প্রিন্সিপালসহ মাদরাসাটির আরেক শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। সকালে আটক দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ