মনিরুল ইসলাম: [২] একাদশ জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন আগামী ১ এপ্রিল বেলা ১১টায় শুরু হবে। চলমান করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে এবার মাত্র তিন কার্যদিবস চলবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের সিনিয়র সহকারি সচিব ওয়ারেছ হোসেন।
[৩] জানা যায়, সংক্ষিপ্ত এই অধিবেশন চলবে ১, ৩ ও ৪ এপ্রিল। বরাবরের মতো এবারও কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন চলবে। অধিবেশনে যোগ দিতে হলে সংসদ সদস্যদের করোনা টেস্ট করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে সংসদে প্রবেশ করতে হবে।
[৪] করোনা শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় মহামারীর এই বিশেষ পরিস্থিতিতে দ্বাদশ অধিবেশনে সংসদ সদস্যদের মধ্যে যাদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ রিপোর্ট রয়েছে শুধু তারাই অংশ নিতে পারবেন বলে জানান জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী।
[৫] তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা হবে। প্রতিটি কার্যদিবসে ৭০-৮০ জন সংসদ সদস্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হবে। করোনা ঝুঁকি এড়াতে আগের অধিবেশনগুলোর মতো মাঝখানে গ্যাপ দিয়ে দিয়ে আসন বিন্যাস করা হবে।
[৬] এদিকে, এবারও জাতীয় সংসদের কার্যক্রম কাভার করার জন্য জাতীয় সংসদ সচিবালয় সাংবাদিকদের কার্ড ইস্যু করছে না বলে জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখা। গণসংযোগ শাখা থেকে বাংলাদেশ টেলিভিশন/সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন/বাংলাদেশ বেতার থেকে ফিড নিয়ে জাতীয় সংসদের কার্যক্রম কাভার করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
[৭] সূত্র জানায়, অধিবেশনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পাসের সম্ভাবনা রয়েছে । বিল পাস ছাড়াও এই অধিবেশনে স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি (সুবর্ণজয়ন্তী) উপলক্ষে সাধারণ আলোচনা হতে পারে। অধিবেশনের প্রথম দিনে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যুতে সংসদে শোক প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা শেষে অধিবেশন মূলতবি করা হবে।
[৮] উল্লেখ্য, সংসদের একাদশ ও শীতকালীন অধিবেশন ১৮ জানুয়ারি শুরু হয়েছিল। এটি শেষ হয় ২ ফেব্রুয়ারি। এই অধিবেশনের কার্যদিবস ছিল ১২টি। সংবিধান অনুযায়ী একটি অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে আরেকটি অধিবেশন বসতে হয়।