বাশার নূরু: [২] ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন ড. কামাল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ও ড. আসিফ নজরুল।
[৩] মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আবদুস সালাম হলে আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। নৈতিক সমাজের পক্ষে সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, মেজর অব. মুজিবুল হক, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুল রহমান, তফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, ইঞ্জিনিয়ার মারুফ খালেদ উপস্থিত ছিলেন।
[৪] ড. কামাল হোসেন বলেন, সাধারণ মানুষ সৎ ও সত্যের পক্ষে। এই জিনিসটা আমাদের ধরে রাখতে হবে। এজন্য তরুণ সমাজকে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে। তাদের সমর্থনই আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছে দেবে। অসত্য, অনৈতিক, অসৎ মানুষদের সাধারণ জনগণ মেনে নেয় না, তাদের ঘৃণা করে। এজন্য অন্যায়, অসত্যের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, এসব থেকে সবাইকে মুক্ত করতে হবে।
[৫] তিনি বলেন, আজ যে দলটি এলো সেখানে যেন অসৎ মানুষদের নেওয়া না হয়। সমাজে আইনের শাসনের দুর্বলতা ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকলে আমি মনে করি অন্যায়ের পক্ষের শক্তি পরাজিত হবে।
[৬] নৈতিক সমাজের নতুন এ উদ্যোগের সফলতা কামনা করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমাদের জ্ঞানের চোখ বন্ধ হয়ে গেছে, আমরা সত্য জানছি না। অনেক দেশ আমাদের শাসন করেছে। আমরা গাড়ি ভাঙচুর চাই না, উন্মাদনা চাই না, কথা বলার ও আমার বক্তব্য তুলে ধরার অধিকার চাই। এভাবে তো একটা দেশ চলতে পারে না। আপনাদেরও বিচার হবে। সে দিন খুব বেশি দূরে না। সে লক্ষ্যেই আজ নৈতিক সমাজের জন্ম। তাদের এই জন্মকে শুভকামনা জানাচ্ছি। এর মাধ্যমেই জেগে উঠবে বাংলাদেশ। আমরা পৃথিবীর এক নম্বর রাষ্ট্র হতে চাই না, আমরা বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা চাই। সমাজের প্রতিটা মানুষ যেন সুফল পায়।