শাহীন খন্দকার: [২] ঢাকা শহরের পাইকারী, খুচরা বাজারসহ পাড়া-মহল্লায় গরমের সব রসালো ফলের ছড়াছড়ি। বাজারভরা তরমুজ বেলসহ অন্যান্য ফলের দামে কমতি নেই, তার পরেও ক্রেতারা নিচ্ছেন, বছরের ফল বলে কথা। কারওয়ান বাজার, কৃষি বাজার, যাত্রাবাড়ীরসহ পাড়ার প্রতিটি অলিতে-গলিতে রাস্তার ওপরে, ভ্যানে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি তরমুজ ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। আর বেল বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিচ ৪০ থেকে ২শ’ টাকায়।
[৩] ব্যবসায়ীও খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে আড়ৎদার থেকে ১শ’ হিসাবে তরমুজ পাইকারী দরে কিনে থাকেন একহাজার থেকে ১৫শ টাকায়। আর খুচরা বাজারে বিক্রি করছে কেজি দরে । খুচরা ব্যবসায়িরা বেশি মুনাফার আশা ঐক্য হয়ে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করছেন।
[৪] ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, একটি তরমুজের ওজন ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। কৃষিবাজারের খুচরা তরমুজ বিক্রেতা শৈকত হোসেন জানালেন, বাজারে ফরিদপুরের আর মানিগঞ্জের ও পাবনা-সিরাজগঞ্জের তরমুজ আর বেল মানিকগঞ্জের, গাজিপুর, কালিয়াকৈরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে। আনারস আসছে রাঙামাটি, মধুটিলা, চট্টগ্রাম, বান্দরবান স্বল্প বিস্তর আসছে মধুপুর থেকে। ছোট সাইজের আনারস ২০ থেকে ৩০টাকা আর বড় সাইজের একপিচ আনারস বিক্রি হচ্ছে ১শ’ থেকে ১৫০ টাকায়।
[৫] পেপের বড় চালান, আসছে রাঙামাটি, বান্দরবনসহ মধুপুর ও ফরিদপুর থেকে ব্যবসায়ীরা জানালেন। পেপে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা কেজি। রাজধানীর মোহম্মদপুর, কৃষিমার্কেট টাউনহল, শেখেরটেক কারওয়ানবাজার, তেজগাঁও বেগুনবাড়ি বাজার ঘুরে এচিত্র দেখা যায়।
[৬] ক্রেতারা বলছেন, বিক্রেতারা অধিক মুনাফায় বিক্রি করছে তরমুজ ও বেল, আনারস, পেপেঁসহ ডাব গত বছরও এমনভাবে কেজি দরে তরমুজ বিক্রি করতে দেখা যায়নি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, একটি তরমুজ মোটামুটি ৫ কেজি থেকে ১৫ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে।
আপনার মতামত লিখুন :