শিরোনাম
◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২১, ০৮:১১ সকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২১, ১০:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কষ্টে আছেন কুয়েত প্রবাসীরা

মিনহাজুল আবেদীন: [২] অনেকেই দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন, খাবারের টাকা যোগাতেই হিমশিম অবস্থা।

[৩] তাদের অভিযোগ, দূতাবাস কোনও খোঁজখবর নিচ্ছে না।

[৪] লন্ড্রি দোকানের মালিক মো. কামাল হোসেন বলেন, লকডাউনের কারণে আমরা মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছি। ২২ বছরের প্রবাস জীবনে এটি নতুন অভিজ্ঞতা। বেশির ভাগ মানুষ ঘরবন্দি। অনেকেই বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারছে না।

[৫] তিনি বলেন, ১২ ঘণ্টা দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে কুয়েত মন্ত্রণালয়। ফলে দোকান ভাড়ার টাকাও উঠছে না। কিন্তু মাস শেষ হলেই কফিলের (মালিক) টাকা পরিশোধ করতে হয়। এ লকডাউন ঈদ পর্যন্ত থাকবে।

[৬] আরেক লন্ড্রি দোকানের মালিক মোয়াজ্জেম হোসেন (সাগর) বলেন, কুয়েত সরকারের পক্ষ থেকে দেশে চলে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। আকামা (কুয়েতে থাকার অনুমতিপত্র) নবায়ন বন্ধ রয়েছে। নতুনভাবে কেউ ঢুকতে পারছে না। দুবাই হয়ে যারা আসছিলো, করোনা মহামারির কারণে তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা খোলা থাকলেও তা বের হচ্ছে না। কিন্তু অন্য দেশের শ্রমিকদের ভিসা বিভিন্ন মাধ্যমে বের হচ্ছে।

[৭] গাড়িচালক মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, সকাল ৫টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করা হয়েছে। কোনও রোজগার নেই। মানুষের কাছ থেকে ঋণ করে চলছি।

[৮] লন্ড্রি দোকানের কর্মী মো. রঞ্জু হোসেন (রিংকু) বলেন, এ অবস্থায় দেশে গেলে কুয়েত ফেরাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়বে। প্রতিদিন গড়ে ৩৫০ জনের আকামা বাতিল হচ্ছে।

[৯] রেস্টুরেন্টে কর্মরত মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, এখন বেশি বেচাকেনা হয় না। কোম্পানিতে যারা কাজ করছেন তাদের অর্ধেক বেতন দেয়া হচ্ছে। অর্থকষ্টে যারা বাইরে কাজ করছেন, তাদের ধরে ধরে আকামা বাতিল করে দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে কুয়েতের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

[১০] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রবাসী জানান, কোনও কাজ নেই। বেশির ভাগ সময় ঘুমিয়ে দিন কাটে। অনেক সময় না খেয়ে থাকতে হয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ দূতাবাসের কোনও পদক্ষেপ নেই। খোঁজ-খবরও নেয়া হয় না। করোনা ভাইরাসের টিকা নিতে গেলেও বিভিন্ন ধরনের ঝামেলার সম্মুখীন হতে হয়। প্রবাসীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। টাকা ছাড়া কোনও কাজ হয় না। লাশ দেশে পাঠাতে গেলেও ঘুষ দিতে হয়। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়