মাসুদ রানা: বাংলাদেশের ৫০তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নিমন্ত্রিত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ প্রদর্শন একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। উপরের অধিকারটুকু চর্চা করতে গিয়ে স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীনতার উদ্দীপক ও নির্দেশক পুরুষ প্রয়াত শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আক্রমণের তাৎপর্য্য কী? এটি কি ১৯৭১ সালে পরাজিত শক্তির উত্থান ও প্রতিশোধ প্রচেষ্টা নয়? নাকি বিশুদ্ধ গণতান্ত্রিক চর্চা? আওয়ামী লীগের স্বৈরশাসন মানুষকে এমনই স্থানে ঠেলে দিয়েছে যে, একাত্তরের পরাজিত শক্তি যখন প্রতিশোধ স্পৃহায় মত্ত হয়ে উঠে তাণ্ডব করে, মানুষ এর মধ্যে শুধু স্বৈরাচার-বিরোধিতাই দেখে!
শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশালের আমি ঘোর বিরোধী। আমি একই সাথে তাঁর প্রশংসাকারী ও সমালোচনাকারী, কিন্তু স্বাধীনতা দিবসে মাদ্রাসা বাহিনীর মোদীর বিরোধিতা করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে আক্রমণ করবে, তা মেনে নিতে পারি না। আমি অবশ্যই বিক্ষোভ মিছিলে গুলিবর্ষণ ও হত্যার নিন্দা করি, বিচার চাই। কিন্তু ইসলাম ও মুসলমাত্বর নামে পরোক্ষভাবে বাঙালীর স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারীদের ব্যাপারে জনসাধারণকে সচেতন ও সতর্ক হতে অনুরোধ করবো। লণ্ডন, ইংল্যাণ্ড।