রাশিদুল ইসলাম : [২] আগেই মিয়ানমারের জান্তা সরকার সরকারি টেলিভিশনে ঘোষণা দেয় বিক্ষোভ অব্যাহত থাকলে মাথায় অথবা পিঠে গুলি করা হতে পারে। এরপরও বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় নেমে এলে দেশটির সেনা, পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি চালালে শনিবার মারা যায় ১১৪ জন। এ নিয়ে মিয়ানমারে গুলিতে মৃতের সংখ্যা ছাড়াল ৪শ। সিএনএন
[৩] নিহতদের মধ্যে ৪৪ জন মারা গেছে ইয়াঙ্গন, মান্দালয় সহ বিভিন্ন শহরে। মান্দালয়ের মেইকটিলা এলাকায় গুলিতে ১৩ বছরের একটি মেয়ে মারা যায়। এ নিয়ে গুলিতে ২০ জন শিশু মারা গেল।
[৪] মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সিনিয়র জেনারেল মিন অং হ্লেইং নেইপিডোতে সেনাবাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে বলেছেন সেনারা জনগণ ও গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্যে তারা কাজ করছেন।
[৫] মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্যান্থনি ব্লিনকেন এধরনের হতাহতের ঘটনাকে আতঙ্কজনক অভিহিত করে বলেন, মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।
[৬] ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া সহ ডজন খানেক দেশের প্রতিরক্ষা প্রধান এক বিবৃতিতে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর আচরণকে পেশাদারিত্ব ও আন্তর্জাতিক মান অনুসরণের আহবান জানিয়ে বলেছেন দেশটির সাধারণ মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে এমন ভূমিকা পালনের জন্যে তারা দায়বদ্ধ।
[৭] জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিয় গুত্যেরেস মিয়ামারে হতাহতের ঘটনায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন এ সংকট কাটিয়ে উঠতে আন্তর্জাতিক ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী ভূমিকা প্রয়োজন।
[৮] মিয়ানগিয়ান এলাকায় মিয়ানমারের এক নাগরিক থু ইয়া জ বলেন সেনারা আমাদের পাখি ও মুরগির মত গুলি করে মারছে, এমনকি আমাদের বাড়িতে ঢুকেও মারছে। আমরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।