এএইচ রাফি: [২] বাংলাদেশে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর ও শুক্রবার ঢাকায় বায়তুল মোকাররম প্রতিবাদে বিক্ষোভে গুলিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশিক (২০) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছে।
[৩] শুক্রবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাদগীন অবস্থা সে মারা যায়। নিহত আশিক জেলা শহরের দাতিয়ারার সাগর মিয়ার ছেলে। এর আগে বিকেলে জেলা শহরের কাউতুলীতে মাদরাসা ছাত্রদের বিক্ষোভে সে গুলিবিদ্ধ হয়। নিহত আশিক পেশায় দিনমজুর ছিলেন বলে জানা গেছে।
[৪] নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে মাদরাসা ছাত্ররা হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ নিয়ে শহরের প্রধান সড়কে মিছিল বের করে।
[৫] বিকেল থেকে শহরের জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও জামিয়া সিরাজুল উলুম মাদরাসার ছাত্ররা বিক্ষোভ শুরু করে। তারা রেলওয়ে স্টেশনে এই ঘটনায় পুলিশসহ অন্তত ২০জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে।
[৬] বিকেল ৪টার দিকে মাদরাসাছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তাদের দখলে নেয়। বিক্ষুব্ধরা স্টেশনে একটি টিকিট কাউন্টার, কন্ট্রোল প্যানেল ও চেয়ার ভাঙচুর করে। এরপর তারা অগ্নিসংযোগ করে। রেললাইনের উপরে চেয়ার-টেবিলসহ স্টেশনের প্লাটফর্মে থাকা মালামালে অগ্নিসংযোগ করে রেল লাইনে ফেলে রাখে।
[৭] সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম জানান, আমরা নিহত হয়েছে, এমন একটি কথা শুনতে পেয়েছিলাম। তবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছিনা।
[৮] তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল জানান, জরুরী বিভাগে নিহত ঘোষণা করার পর মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায় বিক্ষুব্ধরা। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ