মো. হোসেন : [২] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে হাটহাজারীতে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে চারজন মারা গেছেন।
[৩] শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টায় বিষয়টি জানান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার।
[৪] তিনি জানান, হাটহাজারী থেকে গুলিবিদ্ধ ৪ জনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত তিন মাদরাসাছাত্র হলেন মেরাজুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম ও জাহাঙ্গীর আলম। তবে মৃত অপরজনের নাম-পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর। আরেকজন পেশায় দর্জি। মাদরাসার পাশে তার দোকান আছে বলে জানা গেছে।
[৫] এদিকে এ ঘটনায় আহত রয়েছে অর্ধশতাধিক। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রক্তাক্ত অবস্থায় দুই পুলিশ সদস্য হেফাজতের কাছে আছে বলছে পুলিশ।
[৬] চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
[৭] খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সংঘর্ষের জেরে হেফাজতের নেতারা হাটহাজারী থানা কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। ওই এলাকা পুরো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। হেফাজতের বিক্ষুব্ধ কর্মীরা চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়ক অবরোধ করে রেখেছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ থানার সাসনে অবস্থান করছে।
[৭] সংর্ঘষের এক পর্যায়ে মাদ্রাসার সামনে হেফাজতের নেতাকর্মীরা থানার সামনে এসপির নেতৃত্বে পুলিশ ও বাস স্ট্যান্ডে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেয়। ত্রিমুখী অবস্থানের কারণে জুমার নামাজের পর থেকে হাটাহাজারী খাগড়াছড়ি সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
[৮] এদিকে হাটহাজারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, এখনও মাদরাসার সামনে পাঁচ পুলিশ সদস্য আটকা পড়ে আছেন ও দুই সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :