জাফর ওয়াজেদ, ফেসবুক থেকে: তফাত তো একটা রয়েছেই- নাহলে স্বাধীনতার পর প্রথম কেবিনেট কেন তা অনুমোদন করবে।
১৯৭২ সালের ১৩জানুয়ারী এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কেবিনেট সচিবদের সভায়
"আমার সোনার বাংলা"-জাতীয় সংগীত, "ধনধান্য পুষ্পভরা"-জাতীয় গীত, "চল চল উর্ধ্বগগনে"
রণসংগীত হিসেবে অনুমোদিত হয়।পরে মন্ত্রীপরিষদ তা অনুমোদন দেয়।তিন বড় কবির গান তিনটিই বঙ্গবন্ধুুর প্রিয়।
বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে রাস্ট্রীয় অনুষ্ঠানে দুটি গানই বাজতো। একটি শুরুতে এবং অপরটি শেষে।
জেনারেল জিয়া জাতীয়গীত ধনধান্য'র স্হলে চালূ করেন-"প্রথম বাংলাদেশ আমার"। আর বাঙ্গালী
ভুলে যায় তার ন্যাশণাল সং--এমনকি দল হিসেবে আওয়ামীলীগও।ফলে গানটির অপব্যবহার শুরু হয়।
অজ্ঞতার কারণে রক্তে অর্জিত গানটিকে সব বিধি বিধান লংঘন করে চ্যানেল -অাই- এর "তৃতীয় মাত্রা
টিউনিং হিসেবে ব্যবহার করে আসছে--কেউ তাকে নিষেধও করে না শহীদের রক্তে অর্জিত সম্পদকে
এভাবে হেয় করতে। স্বয়ং এইচটি ইমামও নন।এমনকি তোফায়েল আহমদ অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে উপস্হাপককে
অভিনন্দন জানান গানটি বাজানোতে। মানে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিবও ভুলে গেছেন কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে
অর্জিত সম্পদ ভুলুন্ঠিত হয়। দুর্ভাগ্য জাতির এখানেই যে ইতিহাস নিমার্তারা বোঝেন না তারা কী নির্মাণ করেছেন।
(ভারতে বন্দে মাতরম /সারে জাঁহাসে -জাতীয় গীত।)