ইমরুল শাহেদ: ২ এপ্রিল পরিচালক সমিতির নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই প্রার্থী ও ভোটারদের হিসাব-নিকাশ বদলাতে শুরু করেছে। প্রার্থীদের কার কি দোষ আছে, কোন প্রার্থী কার সমর্থনপুষ্ট, নির্বাচিত হওয়ার পর কার চেহারা কিভাবে বদলাবে - এসব আলোচনাই বেশি হচ্ছে।
প্রার্থীদের কেউ কেউ কাছের বা বিশ্বাসভাজন লোকদের দিয়ে নির্বাচনি মাঠে নিজেদের অবস্থান যাচাই করে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ সামনে টেনে আনছেন পরিচালক শাহ আলম কিরণের প্যানেলটিকে। যে লোকটি দীর্ঘ সময় থেকে পরিচালক সমিতিতে কাটিয়েও পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দিতে পারলেন না কেন বা দিলেন না কেন? পরিচালক কাজী হায়াৎ একটি প্যানেল দিয়েছেন। কিন্তু যে সময়টাতে তিনি ভোটারদের সঙ্গে কথা বলবেন সে সময়টাতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ে আছেন হাসপাতালে। তিনি অবশ্য এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
আইসিইউ থেকে তাকে সাধারণ বেডে নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি পূর্ণ সুস্থতার জন্য সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন। কাজী মারুফ মঙ্গলবার বিকেলে এফডিসিতে এসেছিলেন। তার বাবার জন্য দোয়া চেয়েছেন এবং তার সুস্থতার খবরটাও সকলকে দিয়েছেন। অবশ্য কাজী হায়াতের হয়ে মাঠে অন্যরা কাজ করছেন। বর্তমান নির্বাচনে সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার এবং মহাসচিব বদিউল আলম খোকন অংশগ্রহণ করছেন না।
গুলজারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেনও না। কিন্তু বদিউল আলম খোকনের সুযোগ থাক সত্ত্বেও তিনি নির্বাচন করছেন না। বলেন, ‘সংগঠন করতে গেলে তাতে সময় দিতে হয়। কাজের ব্যস্ততার কারণে আমার সেই সময়টা নেই। আগামীতে দেখা যাবে কি করি।’ গুজজারও ছবি নির্মাণের কাজ নিয়ে ব্যস্ত আছেন।
বর্তমান নির্বাচন সম্পর্কে মহাসচিব প্রার্থী শাহীন সুমন বলেছেন, ‘আমার কাছে নির্বাচনি এজেন্ডার কোনো মূল্য নেই। আমি প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করি না।’ আরেক মহাসচিব প্রার্থী এসএ হক অলীক বলেছেন, ‘ভোটাররা বিচক্ষণ। তারা সঠিকভাবেই নেতৃত্ব নির্বাচন করবেন।’ তবে এবারের নির্বাচনে প্রথম দিকে মিডিয়া থেকে আসা পরিচালকদের নির্বাচনি মানদণ্ড বিবেচনা করা হলেও সেটা এখন আর ধর্তব্যের মধ্যে আসছে না।