শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ২৩ মার্চ, ২০২১, ০৫:১৩ বিকাল
আপডেট : ২৩ মার্চ, ২০২১, ০৫:১৩ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নিচ্ছে বাইডেন প্রশাসন

রাশিদ রিয়াজ : অবকাঠামোখাতে ব্যাপক উন্নয়ন ভিত্তিক এ মার্কিন অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় কর বৃদ্ধির শঙ্কা করছেন অনেক মার্কিন নাগরিক। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে এ পরিকল্পনা করছে বাইডেন প্রশাসন। পরিকল্পনাটি প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কাছে চলতি সপ্তাহেই উপস্থাপন করা হচ্ছে। পরিকল্পনায় পরিবেশ রক্ষায় বিতর্কিত সবুজায়ন প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪শ বিলিয়ন ডলার। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় নেয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি। মানব সম্পদ উন্নয়ন, সংখ্যালঘুদের টিউশনি ফি হ্রাস, স্বাস্থ্য সুবিধা বৃদ্ধি ছাড়াও শিশু ও বয়স্কদের যত্নে পরিকল্পনায় প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কোভিড সহায়তা প্যাকেজে ইতোমধ্যে যে ১.৯ ট্রিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন তার যোগান দিতে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা হয়েছে পরিকল্পনায়। ১৯৯০ সালের পর কর্পোরেট ট্যাক্স ও ধনীদের ওপর এত বেশি কর বৃদ্ধির প্রস্তাব আর রাখা হয়নি। ব্লুমবার্গ

তবে নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক পরিকল্পনাটি দুই ধাপে করা হবে। বাইডেন প্রশাসন এসব পরিকল্পনা পর্যালোচনা করে দেখবে। এধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সুযোগ, আকার ও বিভিন্ন ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করবে বাইডেন প্রশাসন। হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন পরিকল্পনার আকার ২ থেকে ৪ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। তবে পরিকল্পনার আকার এখনো চূড়ান্ত করা হয়নি।

তবে এধরনের পরিকল্পনায় সিনেটের অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে ডেমোক্রেটদের মধ্যে কিছুটা দ্বিধা রয়েছে। কারণ সিনেটে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের মধ্যে ৫০-৫০ অংশীদারিত্ব থাকায় পরিকল্পনাটি অনুমোদনে সমঝোতা প্রয়োজন। কারণ রিপাবলিকারা ইতোমধ্যে বলে দিয়েছে কোনো কর বৃদ্ধির প্রস্তাবকে তারা সমর্থন করবেন না। রিপাবলিকানদের পক্ষ থেকে নবায়নযোগ্য জালানির পেছনে বিনেয়োগে সমর্থন না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

সিনেট রিপাবলিকান নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেছেন আগামী কয়েক মাস ধরে আমাদের তথাকথিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রস্তাবের কথা শুনতে হতে পারে। এগুলোকে ‘ট্রোজান হর্স’এর সঙ্গে তুলনা করে মিচ বলেন কর বৃদ্ধি ও বাম ঘরানার কর্মসংস্থান বিনষ্টের নীতি সমর্থন যোগ্য নয়। তিনি বলেন ডেমোক্রেটরা জলবায়ু নীতি বাস্তবায়নে অনেক কিছুই বাদ দেয়ার দিকে ঝুঁকছে। তবে অনেক রিপাবলিকান নেতা অবকাঠামো উন্নয়নে মহাসড়ক নির্মাণ বা চীনকে মোকাবেলায় প্রযুক্তিগত বিনিয়োগ বৃদ্ধিকে সমর্থন করছেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়