সুমাইয়া ঐশী: [২] ২২ বছর বয়সী ফাতেমা বড় হয়েছেন আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গোহর প্রদেশের একটি গ্রামে। তিনি দেশটির তৃতীয় বৃহত্তর শহর হেরাতের ট্যুর গাইড হিসেবে যুক্ত হয়েছেন। দেশের প্রথম নারী ট্যুর গাইড হয়ে সকলের প্রশংসা অর্জন করলেও ফাতেমা জানান, পথটি মোটেও সহজ ছিলো না। সিএনএন
[৩] ফাতেমার গ্রামে নারীদের জন্য কোনো স্কুল ছিলো না। তবু ছোট খেকে লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিলো তার। মায়ের সঙ্গে বাড়ির কাজ শেখার পাশাপাশি অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যান তিনি। লেখার খাতা না থাকলে ছোট লাঠি দিয়ে মাটিতে লিখেছেন ফাতেমা। এরপর তার পরিবার হেরাতে চলে এলে পড়ার পরিধি বাড়ানোর সুযোগ হয় এই নারীর।
[৪] তবে ছোট থেকে ট্যুর গাইড হওয়ার স্বপ্ন ছিলো না ফাতেমার। তিনি বলেন, ট্যুর গাইড যে একটি পেশা হতে পারে, সেটিই একটা সময় আমার কাছে অজানা ছিলো। এক সময় পরিবার থেকে আমার পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা আসতে থাকে। বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে ভাই-বোনেরা। তখনই তাদের প্রচলিত প্রথা ভাঙার সংকল্প নিই এবং এই পেশাটি বেছে নিই।
[৫] এখনো স্বাধীনভাবে নিজের কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরিবেশ হয়নি বলে জানান ফাতেমা। বলেন, আমি যখন অতিথিদের নিয়ে স্থানীয় বাজারের দিকে যাই, ছেলে-মেয়েরা আমার দিকে ঢিল ছোঁড়ে, অশালিন মন্তব্য করে। তবে ফাতেমাকে পেয়ে তার ট্যুর গাইড এজেন্সির কর্মকর্তারা সন্তুষ্ট। সম্পাদনা: আসিফুজ্জামান পৃথিল
আপনার মতামত লিখুন :