আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিয়ানমারের চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দেশটির ‘সব দলের’ সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীন। চীনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও স্টেট কাউন্সিলর ওয়াং য়ি আজ এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, চীন কোনো পক্ষ নিচ্ছে না। খবর রয়টার্সের।
চীনের সংসদের বাৎসরিক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং বলেন, ‘মিয়ানমারের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে চীন সকল দলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে আগ্রহী যেন সংকট নিরসনে গঠনমূলক ভূমিকা নেয়া যায়।’
তিনি বলেন, ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিসহ (এনএলডি) মিয়ানমারের সকল দল ও পক্ষের সঙ্গে চীনের সূদীর্ঘ বন্ধুত্বপূর্ণ আদানপ্রদান রয়েছে। এবং চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বের বিষয়ে মিয়ানমারের সকল খাতে ঐক্যমত্য রয়েছে।’
ওয়াং আরও বলেন, ‘মিয়ানমারের পরিস্থিতি যেভাবেই পরিবর্তিত হোক না কেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের ক্ষেত্রে চীনের সংকল্পে কোনো ঘাটতি হবে না।’
এর আগে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিক্রিয়ায় চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এই পরিস্থিতি চীন কোনোভাবেই দেখতে চায়না। অভ্যুত্থানে চীনের হাত রয়েছে এমন গুজবও উড়িয়ে দেয় দেশটি।
জাতিসংঘ থেকে যখন মিয়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব ডাকা হয়, চীন তা ভেটো দিয়ে আটকে দিয়েছিল।
এদিকে রয়টার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলে হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার এক লবিস্ট নিয়োগ করেছে। সেই লবিস্ট জানান, সেনা সরকার চীন নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে আগ্রহী।
আপনার মতামত লিখুন :