আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] এই লবিস্ট জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সরকার চায় চীনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে। সাবেক ইসরায়েলি মিলিটারি ইন্টালিজেন্স কর্মকর্তা আরে বেন-মেনাসে এর আগে জিম্বাবুয়ের রবার্ট মুগাবে আর সুদানের সামরিক শাসকদের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের জেনারেলরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে আগ্রহী। রয়টার্স
[৩] রয়টার্সকে দেওয়া এক টেলিফোন ইন্টারভিউতে বেন-মেনাসে জানান, তিনি ও তার কোম্পানি ডিকসন অ্যান্ড ম্যাডসন কানাডাকে ভাড়া করেছেন মিয়ানমারের জেনারেলরা। তাদের যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কন্নয়ন ও মিয়ানমারের সম্পর্কে ভুল ধারণা মিটিয়ে দেওয়ার কাজ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, অং সান সুচি চীনের অতি নিকটে চলে গিয়েছিলেন, যা জেনারেলদের পছন্দ ছিলো না।
[৪] তিনি বলেন, ‘জেনারেলরা চীনের পুতুল হয়ে থাকতে চান না।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন শুরু থেকেই মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের বিরোধীতা করে আসছে। নতুন সরকারের উপর কয়েক দফায় দেওয়া হয়েছে অবরোধও। এই ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
[৩] বেস-মেনাসে জানান তিনি নেপিইদো গিয়ে জান্তা সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি করেছেন। তবে তাকে কতো অর্থ দেওয়া হচ্ছে তা জানাননি। বর্তমানে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে মিয়ানমার সরকারের হয়ে তদবির করছেন। এই ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি মিয়ানমারের জান্তা।
[৪] রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে বেন-মেনাসে বলেন, ‘তারা যাদের বাঙালি বলে, তাদের ফিরিয়ে নিতে সরকার তহবিলণ গঠনের চেষ্টা করছে।’
আপনার মতামত লিখুন :