সুজন কৈরী: [২] রাজধানীর চকবাজার ও লালবাগ এলাকায় ৪টি নকল ও ভেজাল প্রসাধনী তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় কারখানাগুলোকে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত। পাশপাশি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের নকল ও ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী ধংস করা হয়েছে।
[৩] বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত র্যাব-২ পরিচালিত এই ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সরোয়ার আলম।
[৪] র্যাব-২ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, সম্প্রতি রাজধানীসহ আশপাশের জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে কিছু অসাধু ব্যক্তি অতি মুনাফার লোভে বিএসটিআই অনুমোদন ছাড়াই মেয়াদোত্তীর্ণ কেমিক্যাল এবং অননুমোদিত রঙ ব্যবহার করে বিভিন্ন ভেজাল প্রসাধনী তৈরি, বিক্রয় ও সংরক্ষন করছে। এসব প্রতিষ্ঠানকে আইনের আওতায় আনতে ব্যাটালিয়ন একটি বিশেষ দল গঠন করে গোয়েন্দা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।
[৫] অভিযানকালে লালবাগ এলাকায় ১টি ও চকবাজার এলাকায় ৩টি নাম বিহীন প্রসাধনী সামগ্রী তৈরি কারখানায় বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ কাঁচামাল দিয়ে প্রসাধনী সামগ্রী উৎপাদন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডের নাম ব্যবহার করে ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী তৈরী ও মেয়াদোর্ত্তীণ পণ্যের সংরক্ষন করে বাজারজাত করাসহ বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের প্রমাণ পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এসব অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট। পাশাপাশি কারখানাগুলো থেকে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকার ভেজাল প্রসাধনী সামগ্রী জব্দ করে ধংস করা হয়। সেই সঙ্গে ১৩ লাখ টাকা মূল্যের প্রসাধনী তৈরির মেশিনারি জব্দ করা হয়েছে।