শিরোনাম
◈ যুদ্ধবিরতির পর গাজায় ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় হামলা, নিহত অন্তত ২০ ফিলিস্তিনি ◈ অনুমতি ছাড়াই সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষমতা পাচ্ছে দুদক ◈ ঘুমন্ত স্ত্রী-সন্তানসহ ৬ জনের শরীরে পেট্রল ঢেলে আগুন, দুজনের মৃত্যু ◈ ভেস্তে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে যুদ্ধবিরতি: গাজায় ‘শক্তিশালী’ হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর ◈ সোনার দাম একলাফে কমলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা ◈ ইতালিতে রেসিডেন্স পারমিট পাওয়ায় শীর্ষ তিনে বাংলাদেশিরা ◈ গাজায় ইসরাইলপন্থী পক্ষপাতের অভিযোগে নিউইয়র্ক টাইমস বয়কটের ঘোষণা ১৫০-রও বেশি লেখক ও শিল্পীর ◈ বিপুলসংখ্যক জামিন প্রশ্নে তিন বিচারপতির কাছে কোনো ব্যাখ্যা নয়, তথ্য চাওয়া হয়েছে: সুপ্রিম কোর্ট ◈ ক্ষোভে জ্বলছে ভারতীয়রা : পাক জেনারেলকে ড. ইউনূসের দেওয়া উপহারের মানচিত্রে ভারতের সাত রাজ্য! ◈ জটিলতা কাটেনি গণভোটের সময় নিয়ে, দুই মেরুতে বিএনপি-জামায়াত

প্রকাশিত : ০৪ মার্চ, ২০২১, ০৩:৫৪ রাত
আপডেট : ০৪ মার্চ, ২০২১, ০৩:৫৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মিয়ানমারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ৫০, জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিকল্প পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ জাতিসংঘের

লিহান লিমা: [২] বুধবারের বিক্ষোভে মিয়ানমার পুলিশ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর এলোপাথাড়ি গুলি নিক্ষেপ করলে ৩৮জন প্রাণ হারান। জাতিসংঘ বলেছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫০জন বিক্ষোভকারী নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে প্রাণ হারিয়েছেন। প্রতিবাদ দমন করতে প্রকাশ্যে গুলি চালাচ্ছে পুলিশ, ব্যবহার করছে টিয়ার গ্যাস, ফ্ল্যাশ ব্যাং, স্টান গ্রেনেড ও জল কামান। সিএনএন,গার্ডিয়ান,আল জাজিরা,রয়টার্স

[৩]মিয়ানমারে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টিনা স্কারনার বার্গনার বলেন, অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে প্রাণঘাতি দিন দেখলো মিয়ানমার। পুলিশ স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে। প্রকাশ্যে রাস্তায় নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ থেকে আমরা ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। ১২’শর বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে, অনেকের আত্মীয়-স্বজন জানেনই না তাদের কোথায় আটক করে রাখা হয়েছে।’

[৪]বার্গনার বলেন, ‘এই পরিস্থিতি অবিলম্বে বন্ধে প্রত্যেকটি ক্ষেত্র প্রয়োগ করতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ বিষয়ে একাত্ম হতে হবে, সদস্য দেশগুলোকেই কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।’

[৫] এই সময় বার্গনার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক করে বলেন, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্তমান অবস্থান হচ্ছে, ‘আমরা নিষেধাজ্ঞায় অভ্যস্ত, এবং অতীতে এমন নিষেধাজ্ঞা পার করেছি।’ তাদের একঘরে করে দেয়ার হুমকির উত্তর হচ্ছে, ‘আমাদের কিছু বন্ধু আছে যাদের নিয়ে আমরা একা চলতে পারি’।

[৬]অধিকার গোষ্ঠিগুলো বলছে, সেনাবাহিনী জনগণের বিরুদ্ধে এখন ডিজিটাল অস্ত্র প্রয়োগ করছে। পাসওয়ার্ড হ্যাক, ফোন ক্লোন, ট্র্যাকিং, সামাজিক মাধ্যমের তথ্য ব্যবহার ও ছবি বিশ্লেষণ করে জনগণকে দমিয়ে রাখার সর্বোচ্চ পথ অবলম্বন করছে জান্তা সরকার। এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘আসিয়ান বা চীন মিয়ানমারের জনগণের জন্য কিছু করবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। কিন্তু জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র পারবে। আমরা চাই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী আমার দেশে এসে জেনারেলদের গ্রেপ্তার করুক ও আন্তর্জাতিক আদালতে নিয়ে যাক।’

[৭]বুধবারের সহিংসতার পর মিয়ানমারের জনগণের ওপর সহিংসতা বন্ধ করে অতিসত্ত্বর রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস।

[৮] ব্রিটেন শুক্রবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়ার কথা বিবেচনা করছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়