শিরোনাম
◈ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি: কী পাচ্ছে বাংলাদেশ, কী হারাতে পারে? ◈ রাতেই সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা (ভিডিও) ◈ চাপাতি হাতে ব্যাগ ছিনিয়ে পুলিশের সামনেই হেঁটে গেলো ছিনতাইকারী, ভিডিও ভাইরাল ◈ রাশিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত ভারতের বৃহত্তম তেল শোধনাগার নায়ারা রিফাইনারির ওপর ইইউর নিষেধাজ্ঞা ◈ রাতের আকাশে ভেসে উঠলো ‘নাটক কম করো পিও’ (ভিডিও) ◈ জটিল ভয়ানক যে রোগে আক্রান্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প! ◈ কুড়িগ্রামে চাঁদা দাবি করা জামায়াতের সেই নেতা সাময়িক বহিষ্কার ◈ বড়াইগ্রামে এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে দুই পরীক্ষার্থী ফেল! ◈ টাঙ্গাইলে পুলিশ হেফাজতে বিএনপি নেতার রহস্যজনক মৃত্যু ◈ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ তলিয়ে দেখা দরকার: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০২১, ১২:০৬ দুপুর
আপডেট : ০২ মার্চ, ২০২১, ১২:০৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মোজাফ্ফর হোসেন : আমলা, প্রশাসক বা রাজনীতিবিদ যখন কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেন, তখন তার বিরোধিতা বা সমালোচনা করা দেশপ্রেমী নাগরিকের কাজ

মোজাফ্ফর হোসেন : রাষ্ট্রবিরোধিতা আর সরকারের সমালোচনা করা এক বিষয় নয়। কোনো আমলা, প্রশাসক বা রাজনীতিবিদ যখন কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নেন, তখন তার বিরোধিতা করা বা সমালোচনা করা দেশপ্রেমী নাগরিকের কাজ। দেশ বা রাষ্ট্রের উর্ধ্বে কোনো সরকার বা রাজনৈতিক দল না। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, ব্যক্তিস্বার্থ আর দলীয় স্বার্থ এক বিষয় নয়। ব্যক্তিস্বার্থ উদ্ধারের জন্য ভণ্ডরা নানা রীতিনীতি তৈরি করে দলকে প্রশ্নের মুখে ফেলে। কেউ কেউ ব্যক্তিস্বার্থে দেশকে বিক্রি করে, কেউ কেউ দলকে। এটাও দলের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের ভাবতে হবে। কাজেই সমালোচনাকে তাদের গ্রহণ করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে দলের স্বার্থেই। জনগণকে বোকা ভাবে নির্বোধেরা। ইতিহাস সাক্ষী, যারাই জনগণ মূর্খ ভেবে বোকা ভেবে পাত্তা দেয়নি, তাদেরই পতন ঘটেছে। এই মাটিতেই ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের পতন তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আর লেখক শিল্পী সংস্কৃতিবান মানুষকে কোণঠাসা করে মতলববাজেরা। সেই ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১, ইতিহাস সাক্ষী। বুদ্ধিজীবীদের হত্যা দুই ভাবে করা যায়-আক্ষরিকভাবে হত্যা করে আর কণ্ঠরোধ করে। পশ্চিম পাকিস্তান দুদিক থেকেই কাজটা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সফল হয়েছিল কেন জানেন? কারণ সেই আওয়ামী লীগ বাংলার সাধারণ জনগণ আর লেখকশিল্পীদের কণ্ঠস্বরকে মেলাতে পেরেছিল। বঙ্গবন্ধু একদিন মফস্বলে, একদিন ঢাকায়, পরদিন জেলে। অন্যভাবে যদি বলি : একদিন শাহ আবদুল করিম বা খান সারওয়ার মুরশিদের সঙ্গে, পরদিন কৃষক বা রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে, অন্যদিন জেলে বই/খাতাকলম নিয়ে।

এই ছিল তার রাজনৈতিক জীবনের রুটিন। স্বাধীনতাযুদ্ধের জন্য বাংলার অহিংস মানুষ এমনি এমনি ঝাঁপিয়ে পড়েনি। বর্তমান আওয়ামী কি সেখানে ব্যর্থ? এই প্রশ্নের উত্তর আমি দেবো না। কারণ দেশে একটা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন আছে। সেটা থাকতেই পারে। কিন্তু অপপ্রয়োগ হলে এই প্রশ্নগুলো জেগে ওঠে : কার নিরাপত্তা? জনগণের? নাকি রাষ্ট্রের? রাষ্ট্রের মানে কি দলের? এসব প্রশ্নের উত্তরও আমি দেবো না। আচ্ছা, এই আইনের বিরোধিতা করা মানে কি রাষ্ট্রের বিরোধিতা করা? মানে রাষ্ট্রদ্রোহী? রাষ্ট্রের চারটি মূলনীতি আছে:

জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। এগুলো বিরোধিতা করা যাবে না। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, মাতৃভাষা, জাতীয় সংগীত-এগুলো আমাদের জাতীয়তাবাধের অংশ। ইসলামধর্ম বাঙালি/বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের অংশ না। আমি মনেপ্রাণে এই জাতীয়তাবাদকে স্বীকার করি। ফলে যদি ব্যক্তিস্বার্থ (কোনো নেতা/আমলা), গোষ্ঠীস্বার্থ (সংখ্যাগুরু মুসলমান সম্প্রদায়) বা দলীয় স্বার্থে (ক্ষমতাসীন দল) কোনো রীতিনীতি/আইন ব্যবহার করা হয়, সেই আইনের অপপ্রয়োগের বিরোধিতা করা আমার দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রবোধের চর্চা। সেই চর্চা যে করে না সেই বরঞ্চ রাষ্ট্রদ্রোহী। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়