জুলফিকার আমীন: [২] গত কয়েক বছর ধরে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজের আকাশচুম্বি হওয়ায় মঠবাড়িয়ার চাষীদের মধ্যে পেঁয়াজ আবাদের আগ্রহ বেড়েছে। প্রশিক্ষণ পেলে উপজেলায় পেঁয়াজের বাম্পার ফলন সম্ভব বলে চাষীরা জানান।
[৩] উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাযায়, কৃষি ক্যালেল্ডার অনুযায়ি ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত পেঁয়াজ আবাদের সময়। এ সময়ের মধ্যে উপজেলায় ২ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। তবে আমন ধান কাটতে দেরি হওয়ায় অধিকাংশ চাষী ১৫ আক্টোবরের পরে পেঁয়াজ আবাদ করেছে। উভয় সময়ে উপজেলায় মোট ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে ধানীসাফা, আমড়াগাছিয়া, টিকিকাটা ও মিরুখালী ইউনিয়নে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় দেড় হাজার মন।
[৪] পেঁয়াজ চাষে চাষীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৫ জন চাষীকে ২৫ কেজি পেঁয়াজের বীজ দেয়া হয়েছে। তবে প্রশিক্ষণের অভাবে চাষীরা বীজ দিয়ে সঠিকভাবে চাষ করতে পারেনি। তাই চাষীদের বীজ পেঁয়াজ কিনে আবাদ করতে হয়েছে।
[৫] উপজেলার ধানীসাফা গ্রামের আছাদুল ও সাইদুল জানান, তারা ৩০ শতাংশ করে জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করে ভালো ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
[৬] উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান জানান, পেঁয়াজ চাষীদের উদ্ভুদ্ধ করার জন্য আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে চাষীদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। চাষীদের মধ্যে পেঁয়াজ চাষে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
[৭] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ শওকত হোসেন জানান, আমন ধান দেরিতে আসায় পেঁয়াজে আবাদে দেরি হয়। আমন ধান আবাদের সময় এগিয়ে এনে সময় মতো পেঁয়াজ আবাদ করলে বাম্পার ফলন সম্ভব বলে তিনি জানান। সম্পাদনা: হ্যাপি