সুজন কৈরী ও মহসীন কবির: [২] বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিল এবং কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রদলের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রেস ক্লাব এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও পুরো এলাকা পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রোববার (২৮ ফ্রেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার পরপর এ সংঘর্ষ হয়। প্রায় ১০ মিনিট ধরে এ সংঘর্ষ চলে। এসময় পুলিশ ফাঁকা গুলি, টিয়ারসেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
[৩] পুলিশের লাঠিচার্জে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ইটপাটকেলের আঘাতে বেশ কয়েকজন পুলিশও আহত হয়েছেন।
[৪] পূর্ব নির্ধারিত ছাত্রদলের কর্মসূচি ঘিরে সকাল থেকে প্রেসক্লাব এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। অপরদিকে ব্যাপক পুলিশের উপস্থিতিও ছিল। ছাত্রদলের এই প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের। পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি ছাড়া কোনো কর্মসূচি করতে দেয়া হবে না এমনটা জানালে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে অবস্থান নেন। পরে বিএনপি নেতা হাবিব উন নবী খান সোহেল প্রেসক্লাবে আসলে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা গেটের বাইরে চলে আসতে শুরু করেণ। বেলা ১১টার কিছু পর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে বাইরে বেরিয়ে সড়কে অবস্থান নেয়। তখন পুলিশ তাদের সেখান থেকে উঠে যাওযার কথা বললে তারা রাজি হননি। এরপরই পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
[৫] পুলিশের রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেন, এ ধরনের দলীয় জমায়েত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুমতি নিতে হয়। আজকে ছাত্রদলের ব্যানারে প্রোগ্রামের জন্য সকাল থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের ভেতরে জড়ো হতে থাকে। প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় এখানে সমাবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু তাদের অনুমতি ছিল না। আমরা সকালেও তাদের অনুমতি নিতে বলেছি। কিন্তু তারা অনুমতি না নিয়ে হঠাৎ করে সাইটে থাকা পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা করে। ছাত্রদলের একটি বড় গ্রুপ প্রেসক্লাবের ভেতর থেকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।
[৬] তিনি বলেন, এতো ইট আসলো কোথা থেকে। তার মানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ইট সংগ্রহ করেছে এবং পুলিশের উপর হামলা করেছে। এ বিষয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। প্রকৃত সংখ্যা এই মুহূর্তে বলতে পারবো না। আহত সদস্যদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ছাত্রদলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এর প্রকৃত সংখ্যাও এই মুহূর্তে বলা সম্ভব না।
আপনার মতামত লিখুন :