শিরোনাম
◈ রাতে বাংলামোটরে জুলাই পদযাত্রার গাড়িতে ককটেল হামলা (ভিডিও) ◈ যুক্তরাষ্ট্রের বাড়তি শুল্ক মোকাবেলায় বাংলাদেশের চার দফা কৌশল ◈ বিআরটিএর মোটরসাইকেল রেজিস্ট্রেশন নিয়ে কঠোর নির্দেশনা ◈ সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ◈ শ্রীলঙ্কার বিরু‌দ্ধে অবিশ্বাস্য ব্যাটিং ধসে বাংলাদেশ হার‌লো ৭৭ রা‌নে ◈ ২০ বছরেও অধরা এমআই-৬'র ভেতরের রুশ গুপ্তচর! (ভিডিও) ◈ নারী ফুটবলের এই অর্জন গোটা জাতির জন্য গর্বের: প্রধান উপদেষ্টা ◈ প্রবাসীদের জন্য স্বস্তি: নতুন ব্যাগেজ রুলে মোবাইল ও স্বর্ণ আনার সুবিধা বাড়লো ◈ একযোগে ৩৩ ডেপুটি জেলারকে বদলি ◈ 'মধ্যপ্রাচ্যে সিলেট-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লোকেরা ঘোষণা দিয়ে মারামারি করে' (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:২৯ দুপুর
আপডেট : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১১:২৯ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বড় স্টেডিয়ামের বড় বিতর্ক

 ডয়চে ভেলে: নরেন্দ্র মোদীর নামে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরি হয়েছে গুজরাতে। শুরু হয়েছে বিতর্কও।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উদ্বোধন হলো ভারতে। বুধবার গুজরাতের আমদাবাদের অদূরে নতুন স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করেন দেশের রাষ্ট্রপতি। এক লাখ ৩২ হাজার আসন বিশিষ্ট ওই স্টেডিয়ামের নাম রাখা হয়েছে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়াম। যা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক মহলে এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কে বিতর্ক শুরু হয়ে গেছে। বিতর্ক আরো বেড়েছে স্টেডিয়ামের দুইটি প্যাভেলিয়ন এন্ডের নাম নিয়েও।

আমদাবাদের অদূরে মোতেরা স্টেডিয়াম অনেক দিন ধরেই ছিল। এতদিন সেই স্টেডিয়ামের নাম ছিল ভারতের প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেলের নামে। বছরকয়েক আগে সেই স্টেডিয়াম সংস্কারের কাজ শুরু হয়। গুজরাত সরকার এবং গুজরাতের ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জানানো হয়, বিশ্বের সব চেয়ে বড় স্টেডিয়াম তৈরি হবে সেখানে। বুধবার তার উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনের সময় জানা যায়, স্টেডিয়ামের নাম বদলে নরেন্দ্র মোদী করা হয়েছে। তবে স্টেডিয়াম ঘিরে যে স্পোর্টস কমপ্লেক্স তৈরি হয়েছে, তা বল্লভভাই প্যাটেলের নামেই আছে।
ভারতে নেতা-মন্ত্রীদের নামে স্টেডিয়াম বা প্রকল্প নতুন কিছু নয়। তবে ক্ষমতায় থাকাকালীন কোনো প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে কিছু করেননি বলেই ইতিহাসবিদদের একাংশের বক্তব্য। সকলেরই কর্মজীবনের পরে অথবা মৃত্যুর পরে নামাঙ্কিত প্রকল্প অথবা সৌধ তৈরি হয়েছে। জওহরলাল নেহরু, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধী থেকে শুরু করে বহু রাজনীতিবিদের ক্ষেত্রেই এমন ঘটেছে। তবে প্রধানমন্ত্রিত্ব চলাকালীন তাঁর নামে স্টেডিয়াম নির্মাণ সম্ভবত এই প্রথম ঘটনা।

স্বাভাবিক ভাবেই বিজেপি বিরোধী দলগুলি রাজনৈতিক সুযোগ ছাড়েনি। তারা বলতে শুরু করেছে, বল্লভভাইয়ের নাম সরিয়ে মোদীর নামে স্টেডিয়াম তৈরি করে বিজেপি বুঝিয়ে দিল, তারা দেশের ইতিহাসকে সম্মান করে না। কংগ্রেস নেতা শশী থারুর লিখেছেন, 'বল্লভভাই প্যাটেল বিজেপির মূল সংগঠন আরএসএস কে নিষিদ্ধ করেছিলেন। বিজেপি এতদিন পরে তার প্রতিশোধ নিল।'

বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, কোনোভাবেই বল্লভভাইকে অসম্মান করা হয়নি। গোটা স্পোর্টস কমপ্লেক্সটির নাম তাঁর নামে। কেবলমাত্র স্টেডিয়ামটির নাম মোদীর নামে। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন গুজরাতের খেলাধুলোর বিষয়ে মোদী অনেক কাজ করেছিলেন। সেই সম্মানেই স্টেডিয়ামের নাম তাঁর নামে রাখা হয়েছে।

বিতর্কের এখানেই শেষ নয়। প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামের একটি প্যাভেলিয়ান এন্ডের নাম আদানি এবং অন্যটি আম্বানির কোম্পানি রিলায়েন্সের নামে। আদানি এবং আম্বানির সঙ্গে মোদীর এবং বিজেপির সম্পর্ক সুবিদিত। বিরোধীরা সবসময়ই অভিযোগ করেন, এই দুই গুজরাতি শিল্পপতিকে মোদী বহু সুবিধা পাইয়ে দেন। তাঁরাও বিজেপিকে বিপুল অর্থ সাহায্য করেন। বস্তুত, মোদীর আমলে বিশেষত আদানির ব্যবসা ফুলেফেঁপে উঠেছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ।

কিছুদিন আগেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, দেশ এখন 'হাম দো হামারা দো' নীতিতে চলছে। অর্থাৎ, মোদী-শাহ এবং আদানি-আম্বানি। বুধবার স্টেডিয়াম উদ্বোধনের পরে তিনি টুইটে লেখেন, তিনি যা বলেছিলেন, বাস্তবে তা-ই ঘটল। বিশিষ্ট আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণও একই ধরনের টুইট করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর নামাঙ্কিত স্টেডিয়ামে কেন দুইটি প্যাভেলিয়ান দুই বর্তমান শিল্পপতির নামে রাখা হলো তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। কোনো কোনো মহল থেকে বলা হয়েছে, সাধারণত, প্যাভেলিয়ান ক্রিকেটারদের নামে হয়। অথবা জায়গার নামে। দেশের একজন ক্রিকেটারকেও কী যোগ্য মনে করল না গুজরাত ক্রিকেট বোর্ড? গ্রন্থনা: ফরহাদ বিন নূর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়