এইচএম দিদার: [২] মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার ভাওরখোলায় নাজমা বেগমের খুনিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়। এতে এলাকারবাসীর একটাই দাবি নাজমার প্রকৃত আসামিদের যেনো দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।
[৩] এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা লিটন আব্বাসী বলেন, ভাওরখোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আব্বাসীর সঙ্গে একই গ্রামের স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সিরাজ মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। সন্ত্রাসী ফারুক আব্বাসীর ভয়ে গত ইউপি নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর থেকে দীর্ঘদিন এলাকায় আসতে পারেনি সিরাজ মিয়া। শুক্রবার তার বড় ভাই আব্দুস সালামের মেয়ের বিয়েতে ভাওরখোলা নিজ গ্রামে আসেন। খবর পেয়ে ফারুক আব্বাসীর লোকজন তার উপর হালা চালায়। হামলায় ঘটনাস্থলেই তার ভাই আব্দুস সালামের স্ত্রী নাজমা আক্তার নিহত হন।
[৪] ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আব্বাসীর বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি, বন্ধ রয়েছে তার ব্যবহৃত মোঠোফন নম্বর। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে তিনি আত্মগোপনে আছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
[৫] মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ জানান, ঘটনার পর থেকে ফারুক আব্বাসির বাড়িতে অভিযান দেশীয় অস্র উদ্ধার করেছি, এলাকার পরিবেশে শান্ত রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা নাজমা হত্যা মামলার এজহার নামীয় একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি।
[৬] উল্লেখ্য, গত (১৯ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভাওরখোলা ইউনিয়নের ভাওয়ারখোলা গ্রামে ফারুক আব্বাসি চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় নাজমা বেগম নিহত হন। সম্পাদনা: হ্যাপি