লিহান লিমা: [২] ‘মার্স ২০২০’ অভিযানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সময় শুক্রবার মধ্যরাতে প্রথমবারের মতো মঙ্গলের মাটিতে নামতে যাচ্ছে নাসার মহাকাশযান পারসিভিয়ারেন্স রোভার। মঙ্গলে পার্সির নামার মুর্হুতটাকে ‘সেভেন মিনিট অব টেরর’ বলে আখ্যা দিয়েছে নাসা। কারণ ওই মুহুর্তে ফ্লাইট কন্ট্রোলারদের করণীয় কিছ্ইু থাকবে না। এপি/বিবিসি/সিএনএন
[৩]বর্তমানে পার্সি ৬৯ হাজার কিলোমিটার বেগে যাচ্ছে। মঙ্গলের নামার পূর্ব মুহুর্তে তাকে ওই গ্রহের মধ্যাকর্ষণের সঙ্গে খাপ খাইয়ে ঘণ্টায় ১০ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পর্যন্ত গতি নামিয়ে আনতে হবে। এই কঠিন প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় ‘অরবিট ইনসার্শন’। এটা করতে হবে রকেট ‘ফায়ার’ করে। এই রকেট ফায়ার শুরু হওয়ার পর ঘণ্টায় গতি কমবে ৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার করে। গতি বেশি হলে পার্সি মঙ্গল ছাড়িয়ে বেরিয়ে যাবে, যা পুনরায় ফিরিয়ে আনা যাবে না। আর গতি কম হলে পার্সি মাধ্যাকর্ষণের টানে মঙ্গলের মাটিতে আছড়ে পড়বে।
[৪] পার্সি সফলভাবে মঙ্গলে অবতরণ করতে পারলে নাসার সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশিয়াল ল্যাবরেটরি ভার্চুয়ালি রোভার ল্যান্ডিংয়ের দৃশ্য সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
[৫]বিজ্ঞানীদের বিশ্বাস, ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন বছর মঙ্গলে পানি বিরাজমান ছিলো, তখনই প্রাণের বিকাশ হয়েছিলো। পারসিভিয়ারেন্স রোভার চকের মতো ৪০ টা পাথরের টুকরো সংগ্রহ করে সেগুলো ধাতুর নলে করে মঙ্গলের মাটিতে পুতে রাখবে। পার্সি আর ফিরে আসবে না। ২০২৬ সালে আরেকটি অভিযানের কাজ শুরু হবে এবং ২০৩১সাল নাগাদ এই উপাদানগুলো পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে। বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা এই উপাদানগুলো ধর্মতত্ত্ব, দর্শন ও মহাকাশ নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর দেবে।
[৬]গত সপ্তাহে চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মহাকাশযান সফলভাবে মঙ্গলের মাটিতে অবতরণ করে। এই তিনটি অভিযানই গত জুলাইতে শুরু হয়েছিলো, মঙ্গলে পৌঁছতে সাত মাসে ৩০০ মিলিয়ন মাইল পাড়ি দিয়েছে তারা।