লিহান লিমা: [২] সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের ৭২ ঘণ্টার মাথায় মিয়ানমারের শিক্ষার্থী ও তরুণরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ রাজপথে নেমে সেনা অভ্যূত্থানের তীব্র প্রতিবাদ জানান। রাজপথে সশস্ত্র যান, নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও আইনী বেড়াজালের হুমকি-ধমকিকে পাশ কাটিয়ে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ় বার্তা দিয়েছেন তারা। এদের মধ্যে রয়েছেন ডাক্তার, নার্স, শিল্পী, ব্যাংকার, রেলওয়ে কর্মী, শিক্ষক, এলজিবিটিকিউ কর্মী, শ্রমিক ইউনিয়ন, ছাত্র ও অন্যান্য সামাজিক গোষ্ঠির সদস্যরা। ডয়েচে ভেলে
[৩]থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত বার্মিজ ব্লগাররা সহ শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা এই আন্দোলনকে সামাজিক মাধ্যমে প্রত্যক্ষ সমর্থন জানিয়েছেন। সরকারবিরোধী বিক্ষোভ উস্কে দেয়ায় বুধবার ৬ তারকাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন চলচ্চিত্র পরিচালক, গায়ক ও শিল্পী। তাদের বিরুদ্ধে আইন অবমাননা করে গণবিক্ষোভ উস্কে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলায় তাদের প্রায় ২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। এ নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৫’শতে পৌঁছেছে।
[৪]সেনা অভ্যূত্থানের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্মের এই প্রতিবাদ নিয়ে মিয়ানমারের ঐতিহাসিক থান্ট মিয়েন্ট-উ ফিনেন্সিয়াল টাইমসকে বলেন, মিয়ানমারের এই পরিস্থিতির জন্য সামরিক নেতা, অং সান সু চি এবং তার দল এনএলডি উভয়ই দায়ী। ‘প্রজন্ম- জেড’ ( যারা ১৯৯০ থেকে ২০০০ সালে জন্মগ্রহণ করেছে) পরিবর্তন নিয়ে আসবে।
[৫]এই প্রতিবাদকে ১৯৮৮ সালের গণবিক্ষোভের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। রাজপথের আন্দোলন গণধর্মঘটে রুপ নিয়েছে। অনেক ব্যাংক বন্ধ রয়েছে, এয়ারপোর্টগুলো সক্ষমতা কমিয়েছে, ট্রেন চলাচল কমেছে, ইয়াঙ্গুন বন্দরে জমা হয়ে আছে মালভর্তি কনটেইনারগুলো। যদিও এই শাটডাউন সামরিক বাহিনীর চাইতে মিয়ানমারের দরিদ্র জনসাধারণকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। সেনাবাহিনীর নিজস্ব ব্যাংক, স্কুল ও হাসপাতাল থাকায় তারা মৌলিক চাহিদাগুলো চলমান রাখতে পারছে।
[৬]১৯৮৮ সালের বিক্ষোভে অংশ নেয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞানী মিন জিন নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, ‘জনগণের চাপ এককভাবে সত্যিকারের রাজনৈতিক পরিবর্তন আনতে পারবে না। এর জন্য শক্তিশালী দীর্ঘ- মেয়াদী কৌশল, লক্ষ্যমাত্রা ও নেতৃত্ব প্রয়োজন।’
আপনার মতামত লিখুন :