আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] এই বিষয়ের সঙ্গে জড়িত ৩ সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। গত সপ্তাহেই প্যাংগন লেক এলাকা থেকে সেনা সরাতে শুরু করে ভারত ও চীন। ফলে ৯ মাসের অচলাবস্তার অবসান হতে যাচ্ছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এখনই দুই দেশের শীতল সম্পর্ক যে কাটছে না, তা ভারতের সিদ্ধান্তে স্পষ্টতর হয়ে উঠেছে। রয়টার্স
[৪] উত্তেজনার শীর্ষ পর্যায়ে চীনকে লক্ষ্য করে বেশ কিছু নীতি নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ভারত। এসময় বেশ কিছু চীনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি কোনও চীনা কোম্পানি দেমটিতে যেনো লাভজনক বিনিয়োগ করতে না পারে, সে ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়। নতুন এই নিয়মে বলা হয়েছিলো, যে দেশের ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত রয়েছে, তার বিনিয়োগ গ্রহণের জন্য কেন্দ্র সরকারের অনুমোদন লাগবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভারতে কমে আসে চীনা বিনিয়োগ।
[৫] এই সিদ্ধান্তে ভারতে আসা ১৫০জন চীনা বিপদে পড়েন। আটকে যায় ২০০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব। এর মধ্যেই আটকে যায় ভারতের জেনারেল মটরস কারখানাকে চীনের গ্রেট ওয়াল মটরসের অধিগ্রহণ পরিকল্পনা।
[৬] নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, তারা কিছু কোম্পানির ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারেন। তবে আগে দেখা হবে, সেগুলো ভারতের জাতীয় নিরাপত্তার জন হুমকি কিনা। তবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।
[৭] তবে নয়াদিল্লিস্থ চীনা দূতাবাসের একটি সূত্র বলছে, নিজ ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হতে দেবে না বেইজিং। যদি ভারত বিনিয়োগে ঝামেলা করে, তবে প্রয়োজনে আশেপাশের অন্য দেশে ব্যবসা সরিয়ে নেওয়া হতে পারে।