ডেস্ক রিপোর্ট: শীর্ষ জঙ্গি নেতা সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক ওরফে জিয়া বর্তমানে দেশেই আছেন। তার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার কোনো তথ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই। গত বছরের মার্চ পর্যন্ত গ্রুপের সদস্যদের সঙ্গে দেশে থেকেই যোগাযোগ রাখতেন তিনি। ইত্তেফাক
এরপর থেকে কারো সঙ্গে তার কোনো যোগাযোগ নেই। এ তথ্য জানিয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আরো জানায়, ইতোমধ্যে নব্য জেএমবির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের অধিকাংশই জিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করেছে। বর্তমানে তাদের কার্যক্রম অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে।
তবে কালের কণ্ঠের সংবাদে বলা হচ্ছে, নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম (এবিটি) ও আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে চিহ্নিত ভয়ংকর জঙ্গি মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়ার হদিস মেলেনি গত সাত বছরেও। দেশে ব্লগার হত্যাসহ জঙ্গিদের বড় বড় তৎপরতার প্রায় প্রতিটিতেই তাঁর সম্পৃক্ত থাকার তথ্য পুলিশ জানালেও তিনি কোথায় আছেন, তা কেউ জানাতে পারেনি।
সিটিটিসি ইউনিটের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, জিয়া এখনো পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। সিটিটিসির উপকমিশনার (কাউন্টার টেররিজম) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘একাধিক মামলায় সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়ায় আমরা তাঁকে খুঁজছি।’ কালের কণ্ঠ
বর্তমানে নব্য জেএমবির নেতৃত্বে কে? কীভাবে চলছে দলটি? এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট বলেছে, দেশে এখন আর তাদের কোনো নেতা নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে তাদের নেটওয়ার্ক তছনছ হয়ে গেছে। বর্তমানে দুই জন বিদেশ থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাদের একজন আবুল আব্বাস এবং অপরজন আবু আহমেদ। তারা দুই জনই মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থান করছেন। তবে দেশে থাকা জঙ্গিরা তাদের নেতৃত্ব নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। কে কার নেতৃত্ব মানবে, সেটা নিয়েই এই বিভক্তি।
কাউন্টার টেররিজমের প্রধান ও ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, ‘দেশে এখন জঙ্গিদের বড় বা মাঝারি ধরনের হামলা চালানোর মতো কোনো সক্ষমতা নেই। তারা বিচ্ছিন্নভাবে সদস্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে। এর মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অনেকেই ধরা পড়ে যাচ্ছে। তারা এখন বিচ্ছিন্ন।’