সমীরণ রায়: [২] গ্রাহকের গচ্ছিত আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে মহি, উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হেদায়েত কবীর, সহকারী মহা-ব্যবস্থাপক (স্বর্ণ বন্ধকী ঋণ বিভাগ) মো. আশফাকুজ্জামান, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের এসএস রোড শাখার ম্যানেজার মো. মাহাবুবুল হক, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নুর মোহাম্মদ, সহকারী অফিসার (গ্রেড-১) আব্দুর রহিম ও নাহিদা আক্তারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
[৩] মঙ্গলবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। সংস্থাটির পরিচালক (জনসংযোগ) প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] দুদক সূত্রে জানা যায়, সমবায় ব্যাংক থেকে জালিয়াতির মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আসামিরা ২হাজার ৩১৬ জন গ্রাহকের মোট ২হাজার ৩৯৮ ভরি ১১ আনা জামানত রাখা স্বর্ণ আইন বহির্ভূতভাবে আত্মসাতের চেষ্টা করে। টাকার অংকের যার পরিমাণ ৪০ কোটি আট লাখ ৬০ হাজার ৮৮৮ টাকা। এর মধ্যে ভুয়া ব্যক্তিকে প্রকৃত ব্যক্তি সাজিয়ে ১১ কোটি ৩৯ লাখ ৮৮ হাজার ৬৮৬ টাকার স্বর্ণ গ্রাহককে না দিয়ে আত্মসাত করে আসামিরা।
[৫] আসামিদের মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে দুদক। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের উপ-মহাব্যবস্থাপক আব্দুল আলিম, সহকারী মহাব্যবস্থাপক (হিসাব) হেদায়েত কবীর, সাবেক প্রিন্সিপাল অফিসার ও সমবায় ভূমি উন্নয়ন ব্যাংকের এসএস রোড শাখার ম্যানেজার মো. মাহাবুবুল হক, প্রিন্সিপাল অফিসার মো. ওমর ফারুক ও সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) নুর মোহাম্মদ। গ্রেপ্তাকৃতদের নিন্ম আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের পৃথক রিমান্ড আবেদন কার হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :