রাজেশ গৌড়: [২] কৃষক-কৃষানিরা কোমড় বেঁধে ধান চাষের জন্য মাঠে নেমেছেন। মাঠের পর মাঠ জুড়ে কৃষকরা কেউ চারা তুলছেন, কেউ জমি তৈরির কাজ করছেন আবার কেউবা ক্ষেতে পানি দিতে সেচের জন্য শ্যালো মেশিন চালু করছেন। সোমবার দুপুরে আদিবাসী এলাকা ভবানীপুর গ্রামে গিয়ে এমনটাই দেখা গেছে।
[৩] এ নিয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কুল্লাগড়া, দুর্গাপুর, গাওকান্দিয়া, চন্ডিগড়, বাকলজোড়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নে বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি।
[৪] জাগিরপাড়া গ্রামের কৃষক সাইদুল ইসলাম ও হযরত আলী বলেন, আমন ধান কাটার পর জমিগুলো ফাঁকা পড়ে আছে তাই দেরি না করে আগাম ধানের চারা লাগাইতেছি। দেড়িতে লাগাইলে জৈষ্ঠ্য মাসের আগাম বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
[৫] দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নে গোপালপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ রংদী বলেন, গত প্রায় মাস দুয়েক আগে আমন ধান কেটেছি। আগাম বন্যার ভয়ে কঠিন শীত ও শত ব্যস্তাতার মধ্যেও বোরো ধান চাষ শুরু করেছি। তবে এখন পর্যন্ত সার, কিটনাশক ও ডিজেলের সমস্যায় পড়তে হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ আমাদের এলাকায় কোন পরামর্শ দিতে আসেনি।
[৬] উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, এবার দুর্গাপুর উপজেলায় বিভিন্ন জাতের ইরি-বোরা ধান চাষের লক্ষ্য মাত্রা ১৭ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর এবং এ পর্যন্ত আবাদ হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমি।
[৭] এবার শীত মৌসুমে শৈত্য প্রবাহ, ঘনকুয়াসা ও কনকনে শীতের মধ্যেও বীজতলা তৈরি করতে কৃষকদের কোনো সমস্যা হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ইরি বোরো চারা রোপনের লক্ষ্য মাত্রা শেষ হলে, দুর্গাপুর উপজেলায় বোরো চাষের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করছি। সম্পাদনা: আঞ্জুমান আরা