গোলাম রব্বানি : চমৎকার টি-শার্ট পড়েছেন, স্ট্যাটাস দিয়েছেন, প্রোফাইল ফ্রেম আর কভারেও ‘All Are Sheikh Hasina's Men’ প্রাণপ্রিয় নেত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা ও আনুগত্যের অনুপম প্রদর্শনী। তো, আমরা নিজেদের হাঁকডাক দিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার লোক দাবি করছি। এদেশের লাখো-কোটি আপামর জনসাধারণ, যারা ভাগ্যোন্নয়নে, অসহায়ত্ব থেকে পরিত্রাণে, ন্যায়বিচার পেতে দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রতি ভরসা রাখে, প্রত্যাশা করে তারা তো নেত্রীর লোক হিসেবে আমাদের প্রতিও ভরসা করে, প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে থাকে।
তাদের জন্য আমরা কতোটা কি করছি? ‘শেখ হাসিনার লোক’ হিসেবে আমাদের কর্ম ও আচরণ কি সে দাবীর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ? নাকি আমরা নেত্রীর সাথে, এমনকি নিজের সাথেও প্রপঞ্চ করে চলেছি প্রতিনিয়ত? ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার লোক’ হওয়া মানে দেশরত্ন শেখ হাসিনার চিন্তা-চেতনা, চির আরাধ্য স্বপ্ন ও ইতিবাচক কর্মকে নিজের মাঝে ধারণ করা। সেটা কীভাবে? কেবল মিটিং-মিছিল, শো-ডাউনে উচ্চস্বরে স্লোগান, সভা-সমাবেশে বক্তব্যের ফুলঝুরি আর সেগুলো ফেসবুকের নিউজফিডে আপ করেই নেত্রীর লোক হিসেবে যথার্থ দায়িত্ব পালন শেষ?
আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী স্বজন হারানোর ব্যথা বুকে পাথরচাপা দিয়ে, নিজের জীবনের সাধ-আহলাদ, চাওয়া-পাওয়াকে তুচ্ছজ্ঞান করে পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন পূরণে, এদেশের দুঃখী-মেহনতী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অহর্নিশ ছুটে চলেছেন। ভিশন ২০৪১, মানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে তার হাতকে শক্তিশালী করতে, তার সেই চলার পথকে আক্ষরিক অর্থেই মসৃণ করতে, আমাদের নেত্রীর স্বপ্ন, দায়িত্ব-কর্তব্য আর দায়বদ্ধতার অংশীদার হতে হবে।
আমি-আপনি দেশ-মাটি ও মানুষের কল্যাণে কোনো ইতিবাচক কাজ করলে, একজন অসহায় মানুষের দায়িত্ব নিলে, কোনো ক্লিষ্ট মুখে হাসি ফোটালে, একজন ভুক্তভোগীকে ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করলে, প্রকারান্তরে নেত্রীর দায়িত্বশীল কাঁধ থেকে ওই একজন মানুষের দায় কমবে, তার কপাল থেকে সামান্য হলেও দুশ্চিন্তার ভাঁজ উবে যাবে, কিছুটা হলেও তিনি নির্ভার থাকতে পারবেন। আমি ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার লোক’ হিসেবে বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে অর্পিত দায়িত্বটুকু পালনে নূন্যতম চেষ্টা করছি, আপনি করছেন তো? নিজেকে প্রশ্ন করুন। আসুন, আমরা ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার লোক’, সেটা কথায় নয়, কাজ প্রমাণ করি। দেশ, মাটি ও মানুষের জন্য ইতিবাচক, মানবিক কাজ করে তার স্বপ্ন আর দায়বদ্ধতার অংশীদার হই। ফেসবুক থেকে