শিমুল মাহমুদ: [২] সাবেক রাষ্ট্রপতি, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্তকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শামিল বলে মন্তব্য করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ সরকারই ক্ষমতায় ছিল। তারাই জিয়াউর রহমানকে বীর উত্তম উপাধি দিয়েছিল। এখন অন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে জনগণ তা মেনে নেবে না।
[৩] তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামেই জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দেন এবং প্রথম সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করেন এবং তিনি প্রথম বিদ্রোহ করেন কালুরঘাট থেকে। মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, জেড ফোর্সের কমান্ডার ছিলেন এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে?
[৪] দলটির আরেক সিনিয়র নেতা ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে অবগত নই। দলের মহাসচিব এ বিষয়ে ব্রিফিং করবেন।
[৫] বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনের যোদ্ধা, তিনি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, স্বাধিনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আর যারা গণতন্ত্র কবরস্থ করেছে, যারা মানুষের অধিকার হরণ করেছে এবং মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করেছে তারা এখন নিঃসঙ্গ উল্লাস করছে।
[৬] তিনি বলেন, সময়টা গণতন্ত্র বিরোধীদের হাতে এখন বন্দি। বন্দিদশা থেকে আমরা যখন গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে পারবো, সেদিন সত্যকে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।
[৭] গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) ৭২তম সভায় এদের রাষ্ট্রীয় খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়। জামুকার সদস্য ও মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাজাহান খান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
[৮] সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিন বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি। এই খুনের নেপথ্যে রয়েছেন জিয়াউর রহমান। জামুকার সভায় এদের মুক্তিযোদ্ধার খেতাব বাতিলের সুপারিশ করা হয়।’
[৯] মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য স্বাধীনতার পর জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দেয়া হয়। এছাড়া শরিফুল হক ডালিম ‘বীর উত্তম’; নূর চৌধুরী ‘বীর বিক্রম’, রাশেদ চৌধুরী ‘বীর প্রতীক’ ও মোসলেহ উদ্দিন ‘বীর প্রতীক’ খেতাব পান।