আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] বাংলাদেশের উন্নতি দেখে উপমহাদেশের আঞ্চলিক মহাশক্তিরাও ঈর্ষান্বিত। ঢাকার ফরেন রিজার্ভ এখন ইসলামাবাদের ৩ গুন। ২০২০ সালে মাথাপিছু জিডিপিতে ভারতকেও পেছনে ফেলেছে বাংলাদেশ। কোভিড-পূর্ব সময়েই দুই দেশ পাশাপাশি চলে এসেছিলো। আর কোভিডের কারণে ভারতের অর্থনীতি প্রবল মার খেলেও বাংলাদেশ তা মানিয়ে নিয়েছ্। এসব কথা বলা হয়েছে কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজারের এক উপ-সম্পাদকীয়তে।
[৩] বাংলাদেশের স্বাধীননতার সময়কালকে সূচনাবিন্দু ধরে ভারতের সঙ্গে তুলনা করলেই বোঝা যায়, বাংলাদেশ প্রতিবেশির তুলনায় কতো বেশি এগিয়েছে। আইএমএফ মাথাপিছু আয়ের হিসেব দেওয়ার পর থেকেই বিজেপির আইটি সেল প্রমান করতে চাচ্ছে, এই রিপোর্ট সঠিক নয়। আনন্দবাজার মনে করে, এই ধরণের বক্তব্য ধোঁকাবাজি ছাড়া কিছু নয়।
[৪] বিজেপির প্রধান বক্তব্য হলো, বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের কারণেই করোনাকালে এই সাফল্য এসেছে। এ কারণে এটিকে সাফর্য মনে করা যাবে না! আনন্দবাজার বলছে, ভারতকে এই খাতে মনোযোগ দিতে কেউ আটকায়নি, তাহলে কেমন করে এই যুক্তি টেকে।
[৫] অমর্ত্য সেন দেখিয়েছেন, কী ভাবে ভারত একসময় মানব-উন্নয়ন সূচকে উপমহাদেশের ওপরের দিকে ছিলো। সে অবস্থান এখন নিম্নমুখী। ২০২০ সালের শেষে, নাগরিকের গড় আয়ু ভারতের চেয়ে বাংলাদেশে তিন বছর বেশি, শিশুমৃত্যুর হার ভারতের চেয়ে কম (হাজারে ভারত ২৮, বাংলাদেশে ২৫), সাক্ষরতায় দুই দেশ পাশাপাশি, শহুরে-জনসংখ্যার হারে বাংলাদেশ (৩৭ শতাংশ) ও ভারত সমান(৩৪ শতাংশ) এবং নারী কর্মসক্ষমতার দিক দিয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে(ভারত ২০ শতাংশ, বাংলাদেশ ৩৬ শতাংশ)।
আপনার মতামত লিখুন :