আব্দুল্লাহ আল আমীন: [২] ময়মনসিংহে নির্যাতিত শিশুকে ফেলে যাওয়ার সময় ব্যাংক কর্মকর্তা সস্ত্রীক আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।
[৩] আটককৃতরা হলেন, মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী মুন্নী। মিজানুর রহমানের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জে। সে অগ্রনী ব্যাংকে চাকরী করেন বলে জানা গেছে।
[৪] নির্যাতিত গৃহকর্মী নিশি (১১) জেলার নান্দাইল উপজেলার রাজবাড়ি গ্রামের প্রতিবন্ধী মুজিবুর রহমানের মেয়ে। শনিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভিক্টিম শিশুর মুজিবুর রহমান বাদী কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
[৫] এর আগে ওই দিন বিকালে পাটগুদাম ব্রীজ মোড়ে আহত গৃহকর্মী লিলিকে তার বাবা মুজিবুর রহমানের কাছে বুজিয়ে দেয়ার দিয়ে চলে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
[৬] পুলিশ জানায়, তিন বছর আগে জেলার নান্দাইল উপজেলার রাজাবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা প্রতিবন্ধী মজিবুরের ১০ বছরের শিশু কন্যা লিলি ঢাকার ধানমন্ডীতে ব্যাংকার মিজানের বাসায় গৃহকর্মী কাজ যান।
[৭] টানা তিন বছর আটকে রেখে প্রভাবশালী অগ্রণী ব্যাংক কর্মকর্তা মিজান ও তার স্ত্রী মুন্নী মেয়েটিকে হাতপা বেঁধে লাঠি পেটা, গরম খুন্তি দিয়ে চেকা দেয় এবং গরম পানি ঢেলে সারাদেহ ঝলসে দেয়।
[৮] এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সুব্রত সাহা বলেন, ৯৯৯ কল পাওয়ার পর পুলিশ গিয়ে শিশুকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আটক ব্যাংকার মিজান ও স্ত্রী মুন্নীকে গ্রেফতার দেখানো হবে। কোতুয়ালী থানায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :