কামরুল হাসান মামুন: বাংলাদেশের ৮ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বা ইউজিসি তদন্ত শুরু হয়েছে। এর আগে আরো ১৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করেছে ইউজিসি। সংখ্যাটা বুঝতে পারছেন? ২১ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। ফেসবুক থেকে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শীর্ষ ব্যক্তির উপর নৈতিক স্খলন বা দুর্নীতির অভিযোগ। কল্পনা করা যায়? এমনি এমনি কি আর দেশে চোর বাটপার দুর্নীতিবাজদের বাম্পার ফলন ঘটছে। মানুষগড়ার কারখানার দাযিত্বে থাকা মানুষদের যদি ন্যূনতম নৈতিকতা না থাকে সেই কারখানা কেমন হয় তার শ্রেষ্ট উদাহরণ সম্ভবত এই বাংলাদেশেই পাওয়া যাবে।
প্রশ্ন হলো এই দায় কার? এর দায় সম্পূর্ণভাবে বর্তায় সরকারের উপর। সরকারতো এমন মানুষ খুঁজে খুঁজেই আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসি বানায়। এটাতো কোন আশ্চর্য হওয়ার কিছু নাই। কারণ আপনি দেখবেন কারা দলকানা। সরকারই চায় এদের মাধ্যমে তাদের দল করা দলান্ধদের নিয়োগ দিক। তাই সরকারই প্রথম তাদের নৈতিকতার স্খলন ঘটায়। একবার যখন স্খলন ঘটেই যায় তখন আর রাখঢাক করা কেন?
আর বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দলান্ধ রাজনীতি তারাই করে যারা সুবিধাবাদী, ধুরন্ধর, তোষামোদকারী। এদেরকে যখন ভিসি হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয় এরা মনে করে তাদের উপর সরকারের সুরক্ষার ছাতা আছে। সেই ছাতা তাদের সকল মুশকিল থেকে রক্ষা করবে এবং করছেও। এইরকম টিকা দেওয়া থাকলে একজন ভালো মানুষও দুর্নীতি করতে টেম্পটেড হবে।
এই দেশের উচ্চ শিক্ষার মান কোনদিনই ভালো হবে না যতদিন না সরকার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তাদের রাজনীতিতে ব্যবহার বন্ধ না করে। আর উচ্চ শিক্ষার মান ভালো না হলে স্কুল কলেজের শিক্ষার মানও ভালো হবে না কারণ সেখানকার শিক্ষকতো বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই আসে।
আপনার মতামত লিখুন :