শিরোনাম
◈ ৯ দল নিয়ে এনসিপির রাজনৈতিক জোটের সম্ভাবনা: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ◈ ষড়যন্ত্রকারীদের হিসাব পাল্টে যাবে যদি বিএনপি রাজপথে নামে: ফখরুলের সতর্কবার্তা ◈ এনসিপির মনোনয়ন ফরমের মূল্য ১০ হাজার, মুক্তিযোদ্ধা ও নিম্নআয়ের প্রার্থীদের জন্য ছাড় ◈ অ-অভিবাসী ৮০ হাজার ভিসা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন ◈ জাতিসংঘে আওয়ামী লীগের চিঠিতে কোনো কাজ হবে না: তৌহিদ হোসেন ◈ প্রার্থী ঘোষণা করায় চাঙ্গা বিএনপির তৃণমূল ◈ গভর্নর আহসান এইচ মনসুরকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগের আলটিমেটাম দিল বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদ ◈ ৫ দুর্বল ইসলামী ব্যাংক: আমানতকারীরা যেভাবে টাকা ফেরত পাবেন ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের দাবিতে জামায়াতসহ আট দলের বিক্ষোভ, রাজধানীতে তীব্র যানজট ◈ এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি ফিরোজ গ্রেফতার

প্রকাশিত : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৯:৩৫ সকাল
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৯:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মিয়ানমারে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন, সেনাশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথে নামলেন শতশত বিক্ষোভকারী

লিহান লিমা: [২]গত সোমবার সেনা অভ্যুত্থানের পর সবচেয়ে শনিবার রাজপথে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখলো মিয়ানমার। ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় শতশত আন্দোলনকারী লাল পতাকা ও গ্রেপ্তারকৃত দেশটির নেত্রী অং সান সু চী প্রেসিডেন্ট উইন মিয়েন্টের ছবি হাতে নিয়ে ‘সেনাশাসন ব্যর্থ হোক, গণতন্ত্র জয় পাক’ স্লোগান দেন। বিবিসি,দ্য গার্ডিয়ান, আল জাজিরা

[৩]বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন তরুণ শিক্ষার্থী ও পোশাক শ্রমিকরা। তারা সু চি, প্রেসিডেন্ট মিয়েন্টসহ অন্যান্য গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তির দাবী জানান। হর্ন বাজিয়ে, হাততালি দিয়ে সেনাবাহিনীকে বর্জনসূচক তিন আঙ্গুল প্রতীকি চিহ্ন দেখিয়ে তারা প্রতিবাদ জানান।

[৪]পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সিটি সেন্টার বন্ধ করে রাখে। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে গোলাপ ও পানির বোতল উপহার দেয় এবং নতুন সরকারকে সমর্থন না করে জনগণকে সমর্থন করার আহ্বান জানায়।

[৫] বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সেনাবাহিনী দেশটির ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে। নেটব্লক অবজারভেটরি জানিয়েছে, দেশটিতে প্রায় ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট চলছে, সংযোগ প্রায় ১৬ শতাংশের নিচে এসে দাঁড়িয়েছে। ফেসবুক বন্ধের একদিন পর এদিন টুইটার ও ইনস্টাগ্রামও বন্ধ করে দেয়া হয়।

[৬] সেনাবাহিনী এখনো এ বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।

[৭] ইয়াঙ্গুন থেকে বিবিসির প্রতিবেদক জানান, বার্মিজ জনগণ সেনাবাহিনীর সহিংস ধর-পাকড় সম্পর্কে অবগত। এই দেশ ১৯৬২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত সেনাশাসন ও নিপীড়ন দেখেছে। জনগণ এখন অনেক সচেতন হয়ে উঠেছে। তারা নিজেদের কণ্ঠ শোনানোর উপায় খুঁজছে। এক বিক্ষোভকারী দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিশ্বকে বলুন এখানে কি ঘটছে। তাদের জানা প্রয়োজন।’

[৮] মানবাধিকার গোষ্ঠিগুলো বলছে, অভ্যুত্থানের প্রথম সপ্তাহেই প্রায় ১৫০জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, ৩০জনকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের নিয়ম ভাঙ্গায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়